ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হল, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হল ও জুলাই ৩৬ হলের আবাসিক ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে ছাত্রীরা ‘তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ’, ‘পুকুরে লাশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ক্যাম্পাস কেন অরক্ষিত, প্রশাসন জবাব দে’, ‘পুকুরেতে ভাসছে লাশ, প্রশাসনের নেই লাজ’, ‘আর কতো ঝরলে লাশ, প্রশাসনের ভাঙবে লাজ’, ‘প্রশাসনের টালবাহানা, বন্ধ করো করতে হবে’, ‘সিসি টিভি নেই কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করো, শিক্ষার্থীদের রক্ষা করো’, ‘সাজিদের মৃত্যুর তদন্ত, দ্রুত করো করতে হবে’, ‘শতভাগ আবাসন, নিশ্চিত করো করতে হবে’ ও ‘শিক্ষার্থীদের আবাসন, নিশ্চিত করবে প্রশাসন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ছাত্রীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে আমাদের ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। সেখানে আমরা তার নাকে রক্ত দেখতে পেয়েছি। মরদেহ উদ্ধারের চল্লিশ মিনিট পরেও অ্যাম্বুলেন্স আসেনি। এই ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। আমরা অতিদ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দেখতে চাই৷ যদি এটা নিয়ে প্রশাসন টালবাহানা করে তাহলে আমরা এক এক করে সব দপ্তরে তালা লাগিয়ে দেব।
Advertisement
তারা আরও বলেন, আজ একজন ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে, আগামীকাল আমার কিংবা অন্য কারো যে মরদেহ পাওয়া যাবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? আমরা এতদূর থেকে পড়াশোনা করতে আসছি, আমাদের কি কোনো নিরাপত্তা নেই?
তারা আরও বলেন, মাঝেমাঝেই আমাদের মেয়েদের হয়রানির স্বীকার হতে হয়। বহিরাগত এমনকি বাস ড্রাইভাররা পর্যন্ত আমাদের হয়রানি করে। এ ব্যাপার প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ আমরা দেখতে পাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে লাইট সংকট, সিসি ক্যামেরা নেই, সামান্য একটু আকাশ খারাপ করলেই হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। আমরা অতিদ্রুত সকল সমস্যার সমাধান চাই।
এর আগে রাত ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকা থেকে ইবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে টর্চ লাইট মিছিল করে শাখা ছাত্রশিবির। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনটি।
ইরফান উল্লাহ/এমএন/এএসএম
Advertisement