রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে অংশ নিতে যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে নেতাকর্মীদের বহনকারী সারি সারি গাড়ি প্রবেশ করছে। এতে যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটারব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা, শনির আখড়া, রায়েরবাগ এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেশিরভাগই জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস। বেশিরভাগ বাসের বাম পাশের বডিতে সমাবেশের ব্যানার লাগানো রয়েছে। এছাড়া সমাবেশে অংশ নিতে প্রচুর মাইক্রোবাসও দেখা গেছে। বাসগুলো মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে গুলিস্তান হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছে।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট কাজলা, শনির আখড়া, রায়েরবাগ ছাড়িয়ে মেডিকেল এলাকা পর্যন্ত চলে গেছে।
Advertisement
অন্যদিকে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, চিটাগাং রোড, সোনারগাঁ, মদনপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের সংকট দেখা দিয়েছে। শনির আখড়া ও রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে সব রুটে চলাচলকারী বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। টিকিট কাউন্টারে দায়িত্ব পালনকারী কর্মীরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ বাস জামায়াতের সমাবেশে রিজার্ভ নেওয়া হয়েছে। তাই আজকে বাসের সংখ্যা কম।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাত দফা দাবি আদায়ে শনিবার দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশে দলটির জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
দলটির সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ; সকল গণহত্যার বিচার; প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার; জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন; জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন; পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এক কোটির বেশি প্রবাসীর ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা।
আরএমএম/বিএ/এএসএম
Advertisement