গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ শঙ্কিত নয় বরং উদ্বিগ্ন। সরকারের দুর্বলতা ও সিদ্ধান্তহীনতায় মনে হচ্ছে সরকারের সঙ্গে গোপনে কোনো শক্তি কাজ করছে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘মিটফোর্ডের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে গোপালগঞ্জে। এরাই আজ রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। ‘মিস্টার অসহায়’ উপদেষ্টাকে অপসারণ না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। বক্তব্যে তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশের ঠিক আগমুহূর্তে এনসিপির সমাবেশে হামলা অশনিসংকেত। লিখিতভাবে জানানো সত্ত্বেও প্রশাসন কোনো নিরাপত্তা দেয়নি। বরং হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গায়েব ছিল।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘জাতি আজ দুই ভাগে বিভক্ত—একদিকে গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতা, অন্যদিকে ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা প্রমাণ করছে, এখনো দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে।’
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ডা. এইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ড. রেজাউল করিম ও ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বক্তারা বলেন, ‘৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদ পতনের পরও যারা বিপ্লবীদের ওপর হামলা করে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু। এই সন্ত্রাসের পেছনে প্রশাসনের ভেতরের দোসরদেরও চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় জনগণ ‘লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বুলবুল বলেন, ‘গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের বাইরে নয়। এটা ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ, হাসিনার নয়। যারা সন্ত্রাস করবে, তারা ছাড় পাবে না।’ তিনি আগামী ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে সবাইকে যোগদানের আহ্বান জানান।
Advertisement
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, যা বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন ও শাহবাগ অতিক্রম করে শেষ হয়।
এএএম/বিএ/এএসএম