মার্কিন কণ্ঠশিল্পী কনি ফ্রান্সিস মারা গেছেন। গত শতকের ষাটের দশকের জনপ্রিয় ‘প্রিটি লিটল বেবি’র গায়িকা তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মাত্র ১৩ দিন আগে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন ‘অনেকটা সুস্থ বোধ করছি।’
Advertisement
নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন কনি। গত ২ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমি আবারও হাসপাতালে। শরীরে কেন এত যন্ত্রণা তা বের করতে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।’ পরে ৪ জুলাই লেখেন, ‘একটা ভালো রাত কাটানোর পর এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছি।’
সামাজিক মাধ্যমে কনির মৃত্যুর খবর দিতে গিয়ে বন্ধু রন রবার্টস লিখেছেন, ‘দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি, আমার প্রিয় বন্ধু কনি ফ্রান্সিস গত রাতে মারা গেছেন। আমি জানি, কনি চাইতেন তার ভক্তরাই এই দুঃসংবাদ সবার আগে জানুক।’
কনি ফ্রান্সিসের পুরো নাম কনসেটা রোজা মারিয়া ফ্র্যাঙ্কোনেরো। তিনি ১৯৩৭ সালের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালের শেষ দিকে কনি সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ১৯৫৮ সালে ‘হুজ সরি নাউ’ গান তাকে পরিচিতি ও খ্যাতি এনে দেয়।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী পপ তারকা কনি রক অ্যান্ড রোল যুগের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী। তার গাওয়া ‘স্টুপিড কিউপিড’, ‘লিপস্টিক অন ইয়োর কলার’, ‘মাই হার্ট হ্যাজ আ মাইন্ড অব ইটস ওউন’ এবং ‘হয়্যার দ্য বয়েজ আর’ অন্যতম জনপ্রিয় গান। তার রেকর্ড বিক্রি হয়েছে ২শ মিলিয়নের বেশি। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৯ সালের মধ্যে তার ৫০টিরও বেশি গান যুক্তরাষ্ট্রের টপচার্টে স্থান পায়।
কনি ফ্রান্সিস ইতালিয়ান, জার্মান, স্প্যানিশ, ফরাসি, হিব্রু, এমনকি জাপানি ভাষায়ও গান করেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে জার্মানি, ইতালি ও জাপানের মতো দেশে তার গান অনেক সময় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায়। ২০০৯ সালে তাকে ইতালিয়ান হল অব ফেমে সম্মানসূচক ‘সেলিব্রিটি ইনডাক্টি’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
কনির গাওয়া ‘প্রিটি লিটল বেবি’ সম্প্রতি রিলসে নতুন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বহু কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে ইদানীং এই ক্ল্যাসিক গানটি ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।
আরএমডি
Advertisement