জাতীয়

ঢাকা কলেজে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে আলোচনা সভা

ঢাকা কলেজে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে আলোচনা সভা

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ঢাকা কলেজে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) ও এর যুব শাখা কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) যৌথভাবে এ আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

Advertisement

ঢাকা কলেজের শহীদ আ ন ম নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে সভা। এতে ঢাকা কলেজসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এতে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ওপর প্রেজেন্টেশন দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুম আরেফিন।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার, সিওয়াইবি ঢাকা কলেজের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদ, উপদেষ্টা মুজাহিদুল ইসলাম ও মো. ইকবাল হোসাইন, সিসিএস নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ, সিওয়াইবির কেন্দ্রীয় সভাপতি রিয়াজ ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মুন্না, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক জাহিদুল ইসলাম মিয়াজি ও বিডি জবসের এজিএম মোহাম্মদ আলী ফিরোজ। সভাপতিত্ব করেন সিওয়াইবি ঢাকা কলেজের সভাপতি মো. ইমরান হোসাইন।

আরও পড়ুনচেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, হয়ে যাচ্ছে মবোক্রেসি: সালাহউদ্দিন আহমদঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে ‘ডেভিল রানি’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন। আইনটি সংস্কারের জন্য এরই মধ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটি সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে তিনি জানান।

Advertisement

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার বলেন, আমরা নিয়মিত যেসব খাবার খাই তার কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। এজন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ছাত্র সমাজকে সচেতন হতে হবে।

সিসিএস নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, আমরা যেখানেই যাই সেখানেই হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হই। মানুষ একটা দুষ্টচক্রে আটকে আছে। এজন্য তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমে নিজে ও পরিবারকে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে ভোক্তা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।

কেএসআর/জেআইএম

Advertisement