আইন-আদালত

হোটেল কর্মচারী রিয়াদ হত্যা মামলায় আরও দুইজনের সাক্ষ্য

হোটেল কর্মচারী রিয়াদ হত্যা মামলায় আরও দুইজনের সাক্ষ্য

২০১৫ সালে মতিঝিল ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর কর্মচারী রিয়াদ হোসেনকে চুরির সন্দেহে হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও দুজন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. ইব্রাহীম মিয়ার আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।

সাক্ষীরা হলেন আহমেদ আলী শাহ ও মো. মোতালেব। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন বিচারক। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি আদালতে তিন পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলার নয় বছর পর শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। এ পর্যন্ত মামলার মোট সাতজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

Advertisement

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর মতিঝিল ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁয় একটি মোবাইল চুরি হয়। এ ঘটনায় রুটি তৈরির হেলপার রিয়াদ হোসেনকে সন্দেহ করে মালিক আরিফ হোসেন সোহেলের নির্দেশে বেঁধে রাখা হয়। অন্য হোটেলে কর্মরত রিয়াদের ভাই রিপন হোসেন ভাইয়ের সন্ধানে এসে জানতে পারেন, মালিক এ ঘটনার বিচার করবেন। মালিকের জন্য তিনি হোটেলটির সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোটেলের মালিক গ্রিল কারিগর জসিমের সহায়তায় রিয়াদকে স্বামীবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান।

এরপর রেস্তোরাঁর অপর কর্মচারী খবির মেছিয়ারসহ আরও অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনের সহায়তায় রিয়াদকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। রাত ১টার দিকে মুখের ভেতর আরিফ হোসেন সোহেল গুলি করেন। এরপর আসামিরা গুরুতর আহত রিয়াদকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন ২৮ অক্টোবর ২০১৫ সালে রিয়াদের ভাই রিপন হোসেন রাজধানীর ওয়ারী থানায় মতিঝিল ঘরোয়া হোটেলের মালিক আরিফ হোসেন সোহেলসহ তিনজনকে আসামি করে একটা হত্যা মামলা করেন। অন্য আসামিরা হলেন রেস্তোরাঁর গ্রিল কারিগর মো. জসিম চৌকিদার ও খবির মেছিয়ার।

এরপর ২০১৬ সালের ২২ জুলাই মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ওয়ারী থানা পুলিশের পরিদর্শক আলিম হোসেন শিকদার। সেখানে তিনজনকে আসামি করেন তিনি। ওই বছরের ডিসেম্বরের ১ তারিখ অভিযোগ গঠন করে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন আদালত।

Advertisement

এমআইএন/এমআরএম/এমএস