খেলাধুলা

বাংলাদেশ রাজি হলেও পাকিস্তানের সেই প্রস্তাবে নারাজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বাংলাদেশ রাজি হলেও পাকিস্তানের সেই প্রস্তাবে নারাজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ না বাঁধলে গত মে-জুনে পাকিস্তান সফরে গিয়ে পাঁচটি টি-টোয়েন্টিই খেলতো বাংলাদেশ। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা আশঙ্কায় তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেই সফর শেষ করেছিল টাইগাররা।

Advertisement

এরও আগে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল পাকিস্তান সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। পরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) প্রস্তাব দেওয়া হয় ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির লক্ষ্যে ওয়ানডে সিরিজটি বাদ দিয়ে মোট পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার।

পিসিবির এ প্রস্তাব মেনে নেয় বিসিবি। সেই অনুসারেই পাঁচটি টি-টোয়েন্টির সূচি চূড়ান্ত করে দুই দল (যু্দ্ধের কারণে শেষ পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচ হয়নি)।

এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে পিসিবি। কিন্তু এতে সায় দেয়নি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ড (সিডব্লিউআই)।

Advertisement

দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মতবিরোধ এতটাই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, আগামী আগস্টে পাকিস্তানের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর বাতিলও হয়ে যেতে পারে। এক প্রতিবেদন এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’।

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ১, ৩ ও ৪ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। এরপর ৮, ১০ ও ১২ আগস্ট ত্রিনিদাদের তারোবার মাঠে তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা।

পিসিবি যে সিডব্লিউআইকে ম্যাচের ফরম্যাটের পরিবর্তনের অনুরোধ করেছে, সেটি নিশ্চিত করে পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, পিসিবি লিখিতভাবে সিডব্লিউআইকে ওয়ানডে ম্যাচগুলো টি-টোয়েন্টিতে রূপান্তর করার অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু এখনো তারা কোনো জবাব দেয়নি। এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়নি।

ক্যারিবীয় বোর্ড কর্মকর্তাদের মতে, ওয়ানডে ফরম্যাটে পাকিস্তানকে হারানোর সম্ভাবনা তাদের বেশি। এই সিরিজকে র‌্যাংকিং উন্নত করার বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

Advertisement

বর্তমানে পাকিস্তান ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে চতুর্থ, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ নবম স্থানে রয়েছে। এই র‌্যাংকিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে শীর্ষ ৮ দল এবং স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে। বাকি দলগুলোকে বাছাইপর্বের মাধ্যমে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

এক সময়ের ওয়ানডে ক্রিকেটের পরাশক্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০২৩ সাল বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি। তারও আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে অংশ নিতে প্লে-অফ খেলতে হয়েছিল দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এবারও যদি শীর্ষ আটে থাকতে না পারে, তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাছাইপর্ব খেলতে হবে।

সিডব্লিউআইয়ের এক সূত্র বলেছে, ‘এটা (বিশ্বকাপে খেলতে না পারা) বিশাল ধাক্কা ছিল দলের জন্য, যারা ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের প্রথম দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল এবং ১৯৮৩ সালে রানার্সআপ হয়েছিল।’

ক্যারিবীয় বোর্ডের প্রশাসকরা মনে করেন, শীর্ষ র‌্যাংকধারী দলের সঙ্গে বেশি ওয়ানডে খেলা তাদের র‌্যাংঙ্কিং উন্নত করতে এবং ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

এমএইচ/এমএস