১৫ জুলাই বাক্সবন্দি মেশিন এখন চায়ের টেবিল, টেস্ট করাতে হয় বাইরে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে জাগো নিউজ। ওই দিনই তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবু হোসেন মঈনুল আহসান। তিনি প্রতিবেদনের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন। ফলে এ ঘটনায় পরদিন তদন্ত কমিটি করে দেন তিনি।
Advertisement
বুধবার (১৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবু হোসেন মঈনুল আহসানের সই করা চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই জাগো নিউজে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে যে, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ক্রয়কৃত/সরবরাহকৃত নতুন মেশিন বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে।
এই বিষয়ে তদন্তপূর্বক পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নিম্নোক্ত কমিটি গঠন করা হলো- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যারেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের উপ-পরিচালক নাজমুন্নাহার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-২) মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন, উপ-পরিচালক (অডিট) ডা. তোফাজ্জল হোসেন, সহকারি পরিচালক ডা. আহমেদ হোসেন, নিমিউ অ্যান্ড টিসি এর টেকনিক্যাল ম্যানেজার (রিপেয়ার) মো. মাসুদ হাসান এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহকারি পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন
Advertisement
এই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত ও রিপোর্ট পর্যালোচনার আগ পর্যন্ত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে বিধি বহির্ভুত কোনো নতুন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানগণ দায়ী থাকবেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবু হোসেন মঈনুল আহসান জাগো নিউজকে বলেন, আমি তাৎক্ষণিকভাবে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য কমিটি করে দিয়েছি। রিপোর্ট আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসইউজে/এমআইএইচএস/এমএস
Advertisement