পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, মালয়েশিয়ায় আটক ৩৬ বাংলাদেশির সবাই সন্ত্রাসবাদে জড়িত নয়। তাদের সবাইকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে আটক করা হয়নি।
Advertisement
বুধবার (১৬ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান তিনি।
গত ৮-১২ জুলাই মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) মিনিস্ট্রিয়াল মিটিংয়ে অংশ নিতে দেশটিতে সফর করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
সফরকালে তিনি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং সেখানে মালয়েশিয়ায় আটক ৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
Advertisement
তৌহিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা স্পষ্ট যে, আটক ৩৬ জনের মধ্যে সবাই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
তিনি বলেন, ‘মাত্র পাঁচজনের ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ উঠেছে যাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া সরকার তদন্ত করে কিছু প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় নিয়েছে। বাকিদের মধ্যে কয়েকজনকে তারা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। কেউ কেউ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া বা মেয়াদের বেশি সময় ধরে থাকার মত অভিবাসন নীতি ভঙ্গের কারণে। অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগ নেই। থাকলে তারা তাদের রাখতো।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। কয়েকজনকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকারকে অনুরোধ করেছি, যেকোনো বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর আগে যেন আমাদের জানানো হয়। যাতে আমরা সেই ব্যক্তিদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে পারি। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’
‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত সচেতন এবং আন্তরিক। আমরা চাই, এ ধরনের সন্দেহ হলে দুদেশ তথ্য ভাগাভাগি করুক, যাতে যৌথভাবে তদন্ত করা সম্ভব হয়।’
Advertisement
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এবারের এআরএফ বৈঠকে আসিয়ানভুক্ত ১০ দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্যসহ আরও ১৭টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অধিকাংশ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও ভারতের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন তৌহিদ হোসেন।
জেপিআই/এমএএইচ/এমএস