দেশের মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দফায় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দলগুলো নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে দিয়েছে দলগুলো।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের আলোচনায় উচ্চকক্ষের বিষয়ে আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এবং জোট দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনে সমর্থন জানিয়েছে। তারা সেভাবেই তাদের মত প্রকাশ করেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছ থেকে এই মতামত পাওয়া গেছে। বলতে পারি বড় আকারের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনে মত দিয়েছে।
আরও পড়ুনঐকমত্য হয়নি, কমিশনের সিদ্ধান্তের পর প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপিইসিতে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি জমা দিয়েও ‘বাছাইয়ে ফেল’ এনসিপিঅধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আজকের আলোচনায় দুইভাবে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হয়। দলগুলো তাদের কেউ কেউ অবস্থান পরিবর্তন করলেও অনেকেই তাদের আগের অবস্থানে আছেন। একদিকে কেউ কেউ বলছেন ভোটের সংখ্যানুপাতে যেন উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যদিকে আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আসনের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও আছে। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো এবং জোটগুলো এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে আসতে পারছেন না, সেহেতু একাধিক দিন উচ্চকক্ষের বিষয়ে আলোচনার পর আজও রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কমিশনের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে আগামী দিনগুলোতে। আমরা এ বিষয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবো। কমিশন জোর দিয়ে মনে করে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ঠ পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আমাদের আসতে হবে। আমরা দ্রুত আলাপ আলোচনা করে আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকে আমাদের অবস্থান বলতে পারবো বলে মনে করি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলোর সঙ্গে আজ তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। আমরা দুটি বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতি অর্জন করেছি। তিনটি বিষয়ের মধ্যে ছিল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, সংবিধান সংশোধন এবং সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়।
তবে সময় স্বল্পতার কারণে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে আলোচনা করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
এনএস/কেএসআর/জেআইএম
Advertisement