দেশজুড়ে

রাঙ্গামাটির কনে-কাজিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীতে মামলা

রাঙ্গামাটির কনে-কাজিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীতে মামলা

মোবাইলে পরিচয়ের সূত্রে বিয়ের পর কাবিন জালিয়াতি করে এক প্রবাসীর কাছে অযথা টাকা দাবি করায় রাঙ্গামাটির কনে-কাজিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর আদালতে মামলা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা রিয়াদ হোসেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে থাকেন। তার কাছ থেকে টাকা আদায়ে প্রতারণা ও কাবিন জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ায় রাঙ্গামাটির ৯ আসামির বিরুদ্ধে গত ১ জুন নোয়াখালীর ৪ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেন প্রবাসীর মা নয়ন তারা বেগম। আদালত নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন রাঙ্গামাটির নানিয়ার চর থানার ইসলামপুর গ্রামের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মাওলানা ইসমাইল হোসেন, একই থানার ইসলামপুর গ্রামের মো. মোশারেফের মেয়ে বিয়ের কনে ময়না আক্তার ওরফে খাদিজা, মৃত শের আলী গাছীর ছেলে মো. আলমগীর, মৃত দেনছের আলীর ছেলে মো. বাবুল খা, মো. মোশারেফের ছেলে রমজান আলী, ফজলুল হকের স্ত্রী আমেনা বেগম, আবদুল হকের ছেলে মো. কালাম, একই এলাকার মো. নাছির খা ও পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা শহীদুল ইসলাম।

Advertisement

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রবাসী রিয়াদ হোসেন রাঙ্গামাটির মেয়ে ময়না আক্তার খাদিজাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। এতে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা করা হয়, যা স্বর্ণালঙ্কার বাবদ উসুল দেওয়া হয়। পরে গত ২০২৪ সালের ৬ মে কনে খাদিজা প্রবাসী রিয়াদকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তালাক দেন। এরপর গত ২৩ মে কাজি মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও আসামিদের যোগসাজশে নকল কাবিন তৈরি করেন, যাতে কাবিনের উসুল উল্লেখ করা হয় ৫০ হাজার টাকা। পরে গত ৩০ মে কাবিনের বাকি টাকার জন্য মোবাইলে প্রবাসীর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, কাবিন জালিয়াতির সময় কনের জন্মতারিখ মূল কাবিনে ২০০০ সালের ৭ জুন থাকলেও নকল কাবিনে ২০০২ সালের ৭ জুন উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মূল কাবিনে কনের নাম মোসাম্মৎ ময়না আক্তার থাকলেও নকল কাবিনে তার পরিবর্তন করে খাদিজা আক্তার উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মূল কাবিনে দেনমোহরের চার লাখ টাকা উসুল থাকলেও নকল কাবিনে উসুল দেখানো হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

প্রবাসী রিয়াদ হোসেনের মামা মো. হারুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘তালাকের এক মাস পর গত ৯ জুন কনে রাঙ্গামাটি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বর রিয়াদ, তার ভাই ও মাকে আসামি করে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা মামলা করার পর হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’

নোয়াখালী পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামিম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সব তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে আদালতে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম