ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিলের পর অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজ। শিক্ষার্থী ভর্তিসহ কোনো কাজই করা সম্ভব হচ্ছিল না। থমকে ছিল শিক্ষা কার্যক্রম। সনদ বা ডিগ্রি দেওয়ার বৈধতা নিয়েও ছিল অস্পষ্টতা। এমনকি ‘কলেজগুলো কার অধীনে’—তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসক। নানামুখী সংকটে সেসময় প্রশাসকের কণ্ঠে ছিল অসহায়ত্বের সুর।
Advertisement
সেই পরিস্থিতি এখন পাল্টে গেছে। প্রস্তাবিত ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র অধীনে পাঠদানের অনুমোদন পেয়েছে কলেজগুলো। জোরেশোরে শুরু হয়েছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম। চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে সাত কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি। আর আবেদন শুরু হতে পারে এ মাসেই। পাশাপাশি আটকে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশেও এসেছে গতি। সবমিলিয়ে অচলাবস্থা কাটতে শুরু করেছে আলোচিত সাত কলেজে।
সাত কলেজ প্রশাসন বলছে, ভর্তি কমিটিগুলো প্রতিদিন দফায় দফায় সভা করছে। আগামী তিনদিন এমন সভা চলবে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তিসহ খুঁটিনাটি কাজ শেষ চলতি সপ্তাহে অথবা আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধীনে সাত কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। চলতি মাসেই শুরু হবে আবেদনপ্রক্রিয়া।
পাঠদানের অনুমোদনে খুলছে ভর্তির জটরাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজ আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। পরে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অধীনে আনা হয়। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করে। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সাত কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দেয় সরকার। বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে একটি কমিটিও করে দেওয়া হয়। ইউজিসি সেই কমিটির কার্যক্রম সমন্বয় করে।
Advertisement
শিক্ষার্থীসহ সব পক্ষের সুপারিশ ও পরামর্শ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)’। তবে এটি করতে যে আইন দরকার এবং তার অনুমোদন প্রয়োজন তা এখনো করা হয়নি। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের অধিভুক্তি বাতিল করেছে।
ফলে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে আছে। সব পাবলিক, প্রাইভেট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি শেষ পর্যায়ে হওয়ায় সাত কলেজের দিকে তাকিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাও চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
আমরা পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। আইনগত বা টেকনিক্যাল যে বাধাটুকু ছিল, সেটা এখন কেটে গেছে। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে আমাদের এখন আর কোনো সমস্যা নেই। আমরা ভর্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছি।-সাত কলেজের প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস
তবে সেই অনিশ্চয়তা অনেকটাই কেটে গেছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধীনে সাত কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্প্রতি সেই চিঠি হাতে পেয়েছেন সাত কলেজের প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস।
Advertisement
অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। আইনগত বা টেকনিক্যাল যে বাধাটুকু ছিল, সেটা এখন কেটে গেছে। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে আমাদের এখন আর কোনো সমস্যা নেই। আমরা ভর্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছি।’
অভিভাবক ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত কাঠামো’শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন পেয়েছে সাত কলেজ। একই সঙ্গে স্থায়ী অভিভাবকও পেয়েছে কলেজগুলো। কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তির কাগজপত্র, পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং ভবিষ্যতে সনদসহ যা যা দেওয়া হবে, তাতে আর ‘অধিভুক্তি’ শব্দটি থাকবে না। সরাসরি তারা ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বলে পরিচিত হবেন।
আরও পড়ুন
কার অধীনে ৭ কলেজ ‘জানেন না’ প্রশাসক, ভর্তি ঘিরে ‘সংশয়’ চূড়ান্তভাবে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করলো ঢাবি যে কোনো দেশের ভিসা পেতে হোঁচট খাচ্ছেন বাংলাদেশিরাতবে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার আইনগত ভিত্তি তৈরির আগেই কীভাবে তার অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে—এমন প্রশ্নও উঠেছে। এ প্রসঙ্গে সাত কলেজের প্রশাসক বলেন, ‘আমরা যে অনুমোদন পেয়েছি, সেখানে বলা হয়েছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত যে কাঠামো, সেটিই আমাদের অভিভাবক। তাদের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হবে। এ শিক্ষাবর্ষ থেকে যারা ভর্তি হবে, তাদের সনদে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি লেখা থাকবে। আশা করি, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন অনুমোদন হয়ে যাবে। তখন আর এসব নিয়ে প্রশ্ন থাকবে না।’
পাঠদান অনুমোদনে কোনো শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইলিয়াস বলেন, ‘তেমন কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। আমরা যেভাবে চিঠি দিয়ে চেয়েছিলাম, সেভাবেই এটা করা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম বিদ্যমান কাঠামো, সিলেবাসের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার। সেটাই রাখা হয়েছে।’
সংশোধিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০ জুলাইয়ের মধ্যেইদেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রমও শেষদিকে। এমনকি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি শেষপর্যায়ে। সেদিক থেকে অনেক পিছিয়ে সাত কলেজ। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ভর্তির আগেই সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
তবে শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন সাত কলেজ প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘ভর্তি নিয়ে আমাদের যে কমিটিগুলো কাজ করছে, সেগুলো গতকাল (রোববার, ১৩ জুলাই) সভায় বসেছিল। আজ (১৪ জুলাই) ও আগামীকালও (১৫ জুলাই) বসবেন। দ্রুত তারা সব কাজ শেষ করবেন।’
‘আমাদের হাতে যেহেতু খুব বেশি সময় নেই, সেজন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, দ্রুত কাজ শেষ করতে। কাজগুলো শেষ হলেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। যত যাই-ই হোক, ২০ জুলাই পার হতে দেওয়া যাবে না। এর মধ্যেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চাই’ যোগ করেন সাত কলেজের প্রশাসক।
একই থাকবে আসন-সিলেবাসঢাবির অধিভুক্ত থাকার সময়ে চলতি বছর এক দফা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সাত কলেজের অধীনে সব অনুষদ মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার ৫২৮টি আসন ছিল। বিজ্ঞান অনুষদে মোট আসন ছিল ৮ হাজার ৬২৭টি। এর মধ্যে কোটায় আসন সংখ্যা ৬১৮। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে আসন সংখ্যা ১০ হাজার ১৯টি। কোটায় ভর্তি হতে পারবেন ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে আসন ছিল চার হাজার ৮৯২টি, যার মধ্যে কোটায় আসন সংখ্যা ৩৯০টি।
সেখানে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। আপাতত এটা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত কাঠামোর অধীনে চলবে। শিগগির সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা পেলে এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে।-ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধীনে সংশোধিত যে বিজ্ঞপ্তি হবে, তাতেও একই সংখ্যক আসন থাকবে। পাশাপাশি বিদ্যমান সিলেবাস ও একাডেমিক পদ্ধতিও একই থাকবে বলে জানিয়েছেন সাত কলেজের প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস।
আগস্টের শেষ বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভর্তি পরীক্ষা২০ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারলে এ মাসেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করবে সাত কলেজ। আবেদনের জন্য ভর্তিচ্ছুদের ১৫-২০ দিনের মতো সময় দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা সেপ্টেম্বরের শুরু বা মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে চায় সাত কলেজ প্রশাসন। এরপর ভর্তি শেষে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াসের ভাষ্য, ‘আশা করছি, আমরা অক্টোবরে ক্লাস শুরু করতে পারবো। সেটা করতে পারলে আমরা খুব বেশি পেছনে থাকবো না। আগের শিক্ষাবর্ষে (২০২৩-২৪) আমরা কিন্তু ২০ নভেম্বর ক্লাস শুরু করেছিলাম। সেই হিসাবে অক্টোবরে ক্লাস শুরু করতে পারলে জট হবে বলে মনে করি না।’ঢাবির অধীনে ৩৮ হাজার আবেদন ঘিরে ‘জটিলতা’
চলতি বছরের শুরুতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সাত কলেজে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছিল। কলেজগুলো হলো— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে অনলাইন আবেদন শুরু হয়ে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। টানা ২৪ দিন আবেদন চলার পর তা স্থগিত করা হয়। ওই সময় পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। তাদের নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছে সাত কলেজ।
ওই সময়ে আবেদন করা ভর্তিচ্ছুদের ‘অপশন’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাত কলেজ প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘তারা (আবেদনকারী) তো ঢাবির অধীনে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল। এখন তাদের মনোভাব পরিবর্তন হবে কি না? হলে তারা আবেদন বাতিল করবেন, নাকি পরীক্ষা দেবেন? সেটার সুযোগ পাওয়াটা তো তাদের অধিকার।
অধ্যাপক ইলিয়াস বলেন, ‘আমরা এটাকে বাদও দিতে পারছি না, আবার সবাইকে জোর করে রাখতেও পারছি না। তাদের আবেদন না নিলে তো আইনি ঝামেলা আছে। এ নিয়ে আমরা সব পক্ষই দোটানার মধ্যে ছিলাম। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ৩৮ হাজার আবেদনকারীকে অপশন দেওয়া হবে। তারা যে প্রেক্ষাপটে আবেদন করছে, তা এখন চেঞ্জ হয়ে গেছে। তারা এখন এখানে থাকবে কি না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সুযোগ দেওয়া হবে।’
ঢাবি নয়, বুয়েটের সহায়তা নিতে চায় ৭ কলেজঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করে, তখন চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য সব ধরনের টেকনিক্যাল (কারিগরি) সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কারণ সাত কলেজের নিজস্ব কোনো আইটি সেন্টার নেই। পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ায় সাত কলেজ এখন ভিন্ন চিন্তা করছে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা না নিয়ে বুয়েটের সহায়তা নিতে চায়। এ নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।
সাত কলেজের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আবেদন, উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ টেকনিক্যাল কাজগুলোর জন্য আমরা ভিন্ন চিন্তা করছি। ঢাবির বাইরেও আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। সেটা হতে পারে বুয়েট। বুয়েটের কয়েকটি টিমের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তাদের থেকে ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট আমরা নিতে পারি।’
বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের আটকে থাকা ফল এ মাসেইসাত কলেজের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শেষ হওয়ার দীর্ঘদিন পরও ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় যারা মান উন্নয়নে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তারা ফল না পাওয়ায় মাস্টার্সে ভর্তি নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন। এ নিয়ে ঢাবির সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন।
শিগগির আটকে থাকা ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানান সাত কলেজের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে মোট ২৫টি বিভাগের মধ্যে ১১টির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ইতিহাসের ফলটাও হয়তো বৃহস্পতিবার হয়েছে…। তাহলে বাকি থাকে ১৩টা। সেটা চলতি (জুলাই) মাসের মধ্যেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে বলে আশা করছি।’
পাঠদান অনুমোদন পাওয়ায় সাত কলেজে আপাতত আর কোনো সংকট নেই বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেখানে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। আপাতত এটা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত কাঠামোর অধীনে চলবে। শিগগির সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা পেলে এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। আমি মনে করি, এ বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠবে।’
এএএইচ/এএসএ/এমএফএ/এমএস