পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ হত্যার বিচারসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
সোমবার (১৪ জুলাই) পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি হাজী সৈয়দ মো. বশির উদ্দিন এ দাবি জানান।
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে মো. বশির উদ্দিন বলেন, পুরান ঢাকা দেশের অন্যতম ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অসংখ্য ব্যবসায়ী এখানে লেনদেন করতে আসেন। অথচ সম্প্রতি এ অঞ্চলে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আজ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর থেকে শৃঙ্খল পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা গোটা দেশের মানুষ দেখেছে। এটি একটি জঘন্য, নিন্দনীয় এবং বর্বর হত্যাকাণ্ড।
Advertisement
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. ব্যবসায়িক পরিবেশ রক্ষা এবং নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
Advertisement
৪. পুরান ঢাকার ব্যবসায়িক এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীর টহল বাড়াতে হবে।
৫. সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।
৬. দাবিগুলোর বিষয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসায়ীরা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাফেজ হাজী এনায়েতুল্লাহ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. গোলাম মাওলা, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক হাফেজ হারুন, সাবেক পরিচালক এবং ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সভাপতি আব্দুস সালাম, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আবুল হাশেম, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী আলহাজ ফারুক আহমেদ, কৃষ্ণ সাহা, অরুণ সাহাসহ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা ও অসংখ্য ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
ইএআর/ইএ/এমএস