ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি ক্রমে উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এতে বলা হয়, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনী জেলার মুহুরী, কুহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পরশুরাম উপজেলার ১৯টি এবং ফুলগাজী উপজেলার ১৭টিসহ মোট ৩৬টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে ১৩৭টি (পরশুরাম ৪৪টি, ফুলগাজী ৬৭টি, ছাগলনাইয়া ১৫টি, ফেনী সদর ৯টি এবং দাগনভূঞা ২টি) গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।
বর্তমানে ১৩০টি গ্রাম থেকে পানি নেমে গেছে। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। জেলার সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বর্তমানে পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৫০ এবং ৫টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা আনুমানিক ২৯ হাজার ৭০০ জন। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রের অধিকাংশ লোক কেন্দ্র ত্যাগ করেছেন। বর্তমানে ৩টি উপজেলায় ৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে (পরশুরামে ১টি, ফুলগাজী ৪টি ও দাগনভূঁঞা ১টি) ৮৮টি পরিবারের ৩৬৫ জন লোক অবস্থান করছেন।
Advertisement
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, দাগনভূঞা ও ফেনী সদর উপজেলায় নগদ ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১৬০ টন চাল উপ-বরাদ্দ দিয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন। ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ফুলগাজী, পরশুরাম, ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া ও দাগনভূঞা উপজেলায় যথাক্রমে ৯৯টি, ৩৬টি, ২২টি, ১১টি, ৬২টি মোট ২৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম উপজেলায় এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধিদের লাইফ জ্যাকেট, গামবুট ও রেইনকোট যথাক্রমে ৭২, ১৬ ও ৩৯ পিস দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ফেনী সদর, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় যথাক্রমে ৩টি, ৩টি ও ৪টি মোট ১০টি ফাইবার বোট সরবরাহ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীদের রান্না করা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী নৌযানসহ উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে প্রশাসনকে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
আরএমএম/এমআইএইচএস/এমএস
Advertisement