টানা বৃষ্টির কারণে বরিশালে বেড়েছে সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। গত সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
Advertisement
সোমবার (১৪ জুলাই) বরিশালের বাংলাবাজার বাজার, সাগরদী বাজারে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে শসা ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে সেটি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ টাকা বেড়ে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, ১০ টাকা বেড়ে করলা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, টমেটো ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া অন্যান্য সবজিও গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বেগুন প্রকার ভেদে ৩০-৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কাঁচা কলা ২০-৩০ টাকা ও লেবুর হালি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজি খুচরা বাজারে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০-১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০-২৭০ টাকা দরে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
অপরদিকে বিভিন্ন মাছ গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে রুই মাছ ৩০০-৪৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৮০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৫৫০-৮৫০ টাকা, পাবদা ২৫০-৪০০ টাকা ও মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা।
নগরীর বাংলা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা তৌহিদ বলেন, ‘পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা সবজির দাম কিছুটা বেশি হবে। কারণ পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে লেবার খরচ, ভ্যান ভাড়া দিয়ে সবজি আনতে হয়। তারমধ্যে বৃষ্টির কারণে সব জায়গাতে খরচ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হয়। পরে বাজারে বিক্রি করতে হলে ইজারা, বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। তাই খুচরা বাজারে সবজি কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।’
বহুমুখী সিটি মার্কেটের দুলাল বাণিজ্যালয়ের মালিক মো. আমিন শুভ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে অন্যান্য সবজি ৫-১০ টাকা বাড়লেও বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেশি। খুচরা ব্যবসায়ীরা নানান খরচের দোহাই দিয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করছে।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
Advertisement
শাওন খান/আরএইচ/এএসএম