অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে পানি সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছয়জনই শিশু। স্থানীয় জরুরি সেবা কর্মকর্তারা রোববার (১৩ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এদিন হামলায় আহতদের নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১৬ জনের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন একজন চিকিৎসক। আহতদের মধ্যে অন্তত সাতজন শিশু রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পানির ট্যাংকারের কাছে খালি পাত্র হাতে অপেক্ষমাণ একদল মানুষের ওপর ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইসরায়েলি বাহিনী।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রক্তাক্ত শিশুদের ও নিথর দেহ পড়ে আছে রাস্তায়, আশপাশে চিৎকার ও আতঙ্ক। আহতদের বাঁচাতে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। অনেককে গাড়ি বা গাধার গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ হামলার পাশাপাশি রোববার গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে আরও অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, রাফায় আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতাল জানিয়েছে, গত ছয় সপ্তাহে তারা যতগুলো হতাহতের ঘটনা দেখেছে, তা গত এক বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
Advertisement
শনিবার ওই হাসপাতালে ১৩২ জন অস্ত্রাঘাতপ্রাপ্ত রোগী ভর্তি হন, যাদের মধ্যে ৩১ জন মারা যান। বেশিরভাগের শরীরে গুলির চিহ্ন ছিল। যারা কথা বলতে পেরেছেন, তারা জানিয়েছেন—তারা খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন।
আইসিআরসি জানিয়েছে, গত ২৭ মে থেকে শুরু হওয়া নতুন খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে হাসপাতালে ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি অস্ত্রাঘাতপ্রাপ্ত রোগী এসেছে এবং ২৫০ জনের বেশি মারা গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত গাজায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৮৯ জন। এদের মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন মার্কিন ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর বিতরণকেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায়। আরও ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার ত্রাণ কনভয়ের পাশে।
সূত্র: ইউএনবিকেএএ/