বিনোদন

‘আম্মাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে’, ছেলের স্বস্তি

‘আম্মাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে’, ছেলের স্বস্তি

রীতিমতো মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এলেন কিংবদন্তিসম লালনসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। মাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ছেলে ইমাম জাফর নোমানী। ফেসবুক মারফত সে খবর জানিয়েছেন অনুরাগীদের।

Advertisement

তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় ফরিদাকে। তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা নেতিবাচক আশঙ্কা নিয়ে দোয়া চাইতে শুরু করেন দেশবাসীর কাছে। শুভার্থীরা চেষ্টা করেছেন যাতে অর্থসংকটে পড়তে না হয় ফরিদাকে। অবশেষে সবার আন্তরিকতায় কেবিনে ফিরেছেন তিনি। হয়তো বাড়িতে ফিরবেন শিগগিরই।

মাকে কেবিনে নেওয়ার পর ফেসবুকে ইমাম জাফর নোমানী লিখেছেন, ‘আম্মাকে এইমাত্র আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার বলেছেন ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অবস্থা আবারো আগের মতো হয়ে যাবে। সবাইকে আবারো অনুরোধ করছি, হাসপাতালে ভিড় না করতে।’

গত ৫ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানা যায় ফরিদা পারভীনের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্তে ধরা পড়েছে সংক্রমণ। কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যাওয়ায় সপ্তাহে তিন দিন তাকে ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছিল। এ সময় তার চেতনাও কাজ করছিল না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিল্পীকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড।

Advertisement

ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান তিনি। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে প্লেব্যাকের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

এমআই/আরএমডি