ফুটবলে চিন্তা বা কল্পনার বাইরে কত কিছু ঘটে! সর্বশেষ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে চার নম্বরে ছিল চেলসি। পিএসজি লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন। ক্লাব বিশ্বকাপেও প্রতিটি রাউন্ডে যে অসাধারণ ফুটবল খেলে উঠে এসেছে ফরাসি ক্লাব পিএসজি। চেলসি উঠে আসার পথে পেয়েছে আল হিলাল, ফ্লুমিন্সের মত ক্লাবগুলোকে।
Advertisement
ফলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিরই প্রাধান্য থাকার কথা ছিল। কিন্তু হলো তার উল্টোটা। পিএসজিকে মাঠে দাঁড়াতেই দেয়নি চেলসি। বরং ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে ইংলিশ ক্লাব চেলসিই।
প্রথমার্ধেই গোল তিনটি আদায় করে নেয় চেলসি। এই অর্ধেই বলতে গেলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচ থেকে বের করে দিয়েছিল ব্লুজরা। মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ইংলিশ ফুটবলার কোল পালমারের অসাধারণ জোড়া গোল এবং ব্রাজিলিয়ান তারকা হোয়াও পেদ্রোর এক গোলে পিএসজির বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় চেলসি। শেষ পর্যন্ত জয়-পরাজয়ের ব্যবধান এটাই বলবৎ থেকে যায়।
অথচ ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। একক আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে পিএসজিই। তাদের বল দখলের পরিমাণ ছিল ৬৭ ভাগ। চেলসির ছিল ৩৩ ভাগ। তবে চেলসি কোচ এনজো মারেসকা বেশ ভালোভাবেই পিএসজির দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পেরেছিলেন।
Advertisement
কাউন্টার অ্যাটাক থেকে লম্বা পাসে পিএসজির ডিফেন্স পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়ে যায়। সে সুযোগাই নিয়েছে চেলসি। লম্বা পাস ধরে দারুণ শটে দু’বার পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমাকে পরাস্ত করেন কোল পালমার। একবার ২২তম মিনিটে এবং অন্যবার ৩০মিনিটে গোল করে চেলসির জয়ে ভূমিকা রাখেন তিনি। ৪৩তম মিনিটে শেষ গোলটি করেন হোয়াও পেদ্রো।
আইএইচএস/