দেশজুড়ে

জোটে বদলে যেতে পারে ভোটের হিসাবনিকাশ

জোটে বদলে যেতে পারে ভোটের হিসাবনিকাশ

উত্তরের শুরুর জেলা পঞ্চগড়ে সংসদীয় আসন দুটি। এর মধ্যে দেশের ৩০০ আসনের এক নম্বর আসন হিসেবে তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী ও সদর উপজেলা নিয়ে পঞ্চগড়-১ আসনটি নানান কারণে গুরুত্বপূর্ণ। জেলা সদরের এই আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন এবং উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনে চলছে জোড় তৎপরতা। সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে নানান উদ্যোগ নিতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের।

Advertisement

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন পরবর্তীসময়ে পঞ্চগড়-১ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিতি পায়। পঞ্চগড়-১ আসনে ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক স্পিকার মরহুম মির্জা গোলাম হাফিজ এবং ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আরেক বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মজাহারুল হক প্রধান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিএনপির হাতছাড়া হয় এই আসনটি। মাঝে ২০১৪ সালে জাসদের নাজমুল হক প্রধান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও পরবর্তী দুটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আর হাতছাড়া করেনি আসনটি। ২০১৮ সালে আবারও আওয়ামী লীগের মো. মজাহারুল হক প্রধান এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এই আসনে আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে নারী ভোটারের পাশাপাশি তরুণদের ভোট বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। এছাড়া নির্বাচনে না থাকলে আওয়ামী লীগের ভোটারদেরও একটা ভূমিকা থাকবে এই নির্বাচনে।

জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের অন্য এলাকার মতো পঞ্চগড়ের আওয়ামী নেতাকর্মীরাও এলাকা ছাড়া। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম সুজনসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী একাধিক মামলায় জেলহাজতে। এর বাইরে প্রথম সারির নেতাসহ ছোটবড় নেতাদের এলাকায় দেখা যায় না। এছাড়া দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর স্বাভাবিক কারণেই এলাকায় দলটির কোনো কার্যক্রম বা তৎপরতা নেই। কর্মকাণ্ড নেই জাতীয় পার্টিরও। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মাঠে সরব দেখা যায়। এছাড়া বাংলাদেশ জাসদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), জাকের পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকেও নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে নানান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন বিএনপি-জামায়াত দুই দলই আশাবাদী  বিএনপির চ্যালেঞ্জ জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন 

পঞ্চগড়-১ আসনে গত বছরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ও নারী ভোটার ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ছিলেন একজন। তবে সবশেষ হালনাগাদ ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পর বর্তমানে জেলার দুটি আসনে ভোটার বেড়েছে ২৯ হাজার ৬১৪। এদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনে ভোটার বেড়েছে ১৬ হাজার ৩৪৭। এদের মধ্যে তিন উপজেলা নিয়ে এ আসনে হিন্দু ভোটার রয়েছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার এবং তরুণ ভোটার ৪০ থেকে ৪৫ হাজার। এই আসনে আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে নারী ভোটারের পাশাপাশি তরুণদের ভোট বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। এছাড়া নির্বাচনে না থাকলে আওয়ামী লীগের ভোটারদেরও একটা ভূমিকা থাকবে এই নির্বাচনে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট হবে কি না, জোট হলে কোন দলের সঙ্গে কোন দলের হবে, এ নিয়ে বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে নানান হিসাব-নিকাশ। এজন্য এখনই কোনো প্রার্থী নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে রাজি নন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট হবে কি না, জোট হলে কোন দলের সঙ্গে কোন দলের হবে, এ নিয়ে বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে নানান হিসাবনিকাশ। এজন্য এখনই কোনো প্রার্থী নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে রাজি নন। কারণ পঞ্চগড়-১ আসনে একাধিক দলের শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে ও কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির অন্যতম।

আরও পড়ুন ৪২ শতাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী ভোটারই নির্ধারণ করবে জয়-পরাজয়  ফখরুলের প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের দেলাওয়ার, আছেন স্বতন্ত্ররাও 

এছাড়া পঞ্চগড়-১ আসনে মাঠে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। তারাও দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের প্রথম সারির এবং দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে প্রভাবশালী নেতা। এখানে জোটভুক্ত নির্বাচন অথবা কোনোরকম জোট ছাড়া নির্বাচনের মধ্যে বদলে যেতে পারে প্রার্থিতারও হিসাবনিকাশ।

Advertisement

এই আসনে মাঠে রয়েছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। এখানে জোটভুক্ত নির্বাচন অথবা কোনোরকম জোট ছাড়া নির্বাচনে বদলে যেতে পারে অনেক হিসাবনিকাশ।

তবে আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বসে নেই নেতারা। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা রাজনীতির মাঠে সরব রয়েছেন। নির্বাচনী মাঠে সরব নেতারা বিগত সরকারের মতো একতরফা এবং রাতের ডামি নির্বাচনী পরিবেশ চান না। এ নিয়ে তৎপর তারা। বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও উঠোন বৈঠকে এ নিয়ে সচেতনতামূলক কথাও বলছেন নেতারা। তবে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো দল বা ব্যক্তির পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা বা ভোট চাইতে দেখা যায়নি। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিসহ স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ অংশ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করছেন সবাই।

আরও পড়ুন বিএনপি-জামায়াত লড়াইয়ের সম্ভাবনা  নতুন প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারণা 

পঞ্চগড়-১ আসনে দলীয়ভাবে সক্রিয় নেতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির অন্যতম। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে দলীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। এর আগেও এ আসনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। দল গোছাতে তিনিও নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, উঠোন বৈঠক করছেন। তার বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের ব্যক্তিগত ইমেজও ছেলের পক্ষে ভোটার টানতে সহায়ক হতে পারে।

এদিকে সব ঠিক থাকলে জেলা বিএনপির প্রথম সারির একাধিক নেতা এবারও দলীয় মনোনয়ন চাবেন। তবে এদের কেউ এখনই নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে বা দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তাদের নাম এখনই প্রকাশ করতে চান না।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড় জেলা শাখাও দেশের অন্য এলাকার মতো পঞ্চগড়-১ আসনে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসাইনকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। জামায়াত প্রার্থী ইকবাল হোসাইন গণঅভ্যুত্থানের আগে থেকেই নানাভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে দল গঠনে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। জামায়াতের ইসলামীর আয়োজনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলসহ দলীয় সভা-সমাবেশ করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতের উদ্যোগে বিভিন্ন অসহায় ব্যক্তি ও পরিবারে নানাভাবে সহায়তা করছেন।

আরও পড়ুন ৪২ শতাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী ভোটারই নির্ধারণ করবে জয়-পরাজয়  ফখরুলের প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের দেলাওয়ার, আছেন স্বতন্ত্ররাও 

এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম তার এলাকায় বেশ তৎপর হয়ে ওঠেন। সারজিস আলমের বাড়ি পঞ্চগড়-১ আসনের আটোয়ারী উপজেলায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত নতুন দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ এনসিপি রাজনীতির মাঠে আত্মপ্রকাশের পর তিনি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পান। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি শতাধিক গাড়িবহর নিয়ে নিজ এলাকায় ব্যাপক শোডাউন করেন। গাড়িবহরের শোডাউন রাজনীতির মাঠে বেশ আলোচিত-সমালোচিত ছিল।

এছাড়া সারজিস আলমের নামে এলাকায় ঈদসহ বিভিন্ন দিবস ও অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যাপক পোস্টার ও ফেস্টুনও লাগানো হয়। মাঝে মধ্যেই তিনি এলাকায় জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনসহ সভা-সমাবেশ করেছেন। সর্বশেষ এনসিপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই পদযাত্রা নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ প্রথম সারির নেতাদের নিয়ে তিনি জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে পথসভা করেন। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। সম্প্রতি (৪ জুলাই) আটোয়ারী উপজেলায় দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের সময় পঞ্চগড়-১ আসনে এনসিপির প্রার্থিতা নিয়ে তিনি তার বক্তব্যে জানান, এখনো কিছু ঠিক করা হয়নি। এনসিপি থেকে এখানে কে প্রার্থী হবেন, তা এলাকার ভোটাররাই ঠিক করবেন।

এ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানও একজন শক্তিশালী প্রার্থী। তিনি একবার (২০১৪ সালে) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এলাকায় তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার রয়েছে। এ সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারেন। বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ জাসদের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছাসহ দলের পোস্টার লাগানো হয়েছে। তিনিও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

আরও পড়ুন অদৃশ্য শত্রু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে: তারেক রহমান  শাপলা প্রতীক ছাড়া আমাদের কোনো অপশন নেই: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধানও একজন শক্তিশালী প্রার্থী। জাগপা প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শফিউল আলম প্রধানের ছেলে হিসেবে তিনিও তার নির্বাচনী এলাকায় বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ। তিনিও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় হাটবাজারে গণসংযোগ করছেন। তবে নিজের প্রার্থিতা নিয়ে বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় তিনি বলেন, ‘এখনো ভোটের রাজনীতি শুরু হয়নি। আপাতত জোটের রাজনীতি চলছে। জোট নিয়ে কীভাবে কী হবে ঠিক করে কিছুই বলা যাবে না।’

তবে তিনি এলাকায় যে কোনো ভাবেই হোক সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন, এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিলে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক অংশ নিতে পারেন। এছাড়া জাকের পার্টির আনিছুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের মাহাফুজার রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের সাজেদার রহমান সাজুর পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে। তারাও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনসহ এলাকায় সভা-সমাবেশ ও উঠোন বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন।

এসএইচএ/এসএইচএস/এমএফএ/জিকেএস