রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন পূর্ব বাড্ডার একটি বাসা থেকে রহিমা আক্তার (২১) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে রহিমার স্বামী রাসেল মিয়া পলাতক বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। রাসেল পলাতক থাকায় তাদের সন্দেহ, রহিমাকে হত্যা করা হতে পারে।
Advertisement
রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড্ডা থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা সিদ্দিকা সোমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে পূর্ব বাড্ডার পাঁচতলা বাজার এলাকার একটি টিনশেড বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এলাকার বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীর ওপর অভিমান করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Advertisement
ওই নারীর ভাই নিয়ামত জানান, তার বোন ও ভগ্নিপতি বাড্ডায় বিগবস নামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। দুজনে প্রেম করে বিয়ে করেন। তাদের ছয় মাসের একটি সন্তান রয়েছে। তিনিও জানতে পেরেছেন, পারিবারিক কলহের জেরে তার বোন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার পর থেকে তার বোনের স্বামী পলাতক। পলাতক থাকায় তাদের সন্দেহ হচ্ছে, তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে কি না।
রহিমা আক্তার বরগুনা সদরের বুনিয়া গ্রামের মজিবুরের কন্যা। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
কাজী আল-আমিন/এমকেআর/জেআইএম
Advertisement