অর্থনীতি

আমদানি-রপ্তানির লেনদেনে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মানার নির্দেশ

আমদানি-রপ্তানির লেনদেনে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মানার নির্দেশ

বিক্রয়চুক্তির ভিত্তিতে আমদানি-রপ্তানির লেনদেনে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ করে ডকুমেন্টারি কালেকশন পদ্ধতিতে লেনদেন হলে ব্যাংকগুলোকে ‘ইউনিফর্ম রুলস ফর কালেকশন (ইউআরসি)’ অনুসরণ করতে হবে—এটি এখন বাধ্যতামূলক।

Advertisement

রোববার (১৩ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়, বৈধ তিনটি পদ্ধতিতে—অগ্রিম পরিশোধ, ডকুমেন্টারি কালেকশন এবং ওপেন অ্যাকাউন্ট—বাণিজ্যিক লেনদেন করা যাবে। তবে এসব ক্ষেত্রে আমদানি-রপ্তানির বর্তমান নীতিমালা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) ভিত্তিক লেনদেনে আগে থেকেই ইউসিপি (ইউনিফর্ম কাস্টমস অ্যান্ড প্র্যাকটিস) অনুসরণ করা হতো। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এলসি ছাড়াও যেসব বিকল্প পদ্ধতিতে লেনদেন হবে—বিশেষ করে বিক্রয়চুক্তিভিত্তিক ডকুমেন্টারি কালেকশনে—সেখানে ইউআরসি অনুসরণ করা আবশ্যক।

ডকুমেন্টারি কালেকশনএই পদ্ধতিতে রপ্তানিকারকদের ব্যাংক আমদানিকারকদের ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠায়। পরে নির্ধারিত শর্তে অর্থপ্রদান বা প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে ওই কাগজ হস্তান্তর করা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কেবল কাগজপত্র আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে—কোনো আর্থিক গ্যারান্টি দেয় না। আন্তর্জাতিকভাবে এই নিয়মই ইউআরসি নামে পরিচিত।

Advertisement

ব্যাংক ও বাণিজ্য খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর জন্য সময়োপযোগী এবং কার্যকর। তাদের মতে এলসিতে ইউসিপি আর চুক্তিভিত্তিক লেনদেনে ইউআরসি বাধ্যতামূলক করার ফলে লেনদেনের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট হবে। এটি অর্থপ্রদানের নিরাপত্তা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেও তাদের প্রত্যাশা।

ইএআর/এমআইএইচএস/জিকেএস