আন্তর্জাতিক

কয়েক দিন ধরে ভূমিকম্পে কাঁপছে দ্বীপ, আতঙ্কে বাসিন্দারা

কয়েক দিন ধরে ভূমিকম্পে কাঁপছে দ্বীপ, আতঙ্কে বাসিন্দারা

জাপানের প্রত্যন্ত আকুসেকিজিমা দ্বীপ বেশ কয়েক দিন ধরেই ভূমিকম্পে কাঁপছে। গত তিন সপ্তাহে দ্বীপটিতে এক হাজার ৮০০টিরও বেশি ভূকম্পন রেকর্ড হয়েছে।

Advertisement

দ্বীপের একমাত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইয়োশিরো তোবো এখন দ্বীপে থাকা হাতে গোনা কয়েকজনের মধ্যে একজন। ৫২ বছর বয়সী তোবো পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দ্বীপেই থেকে গেছেন। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত কাঁপছে মাটি। ঘুমাতে ভয় লাগে। এই কম্পন যেন থামতেই চায় না।

জুলাইয়ের ৩ তারিখ সবচেয়ে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্পে দ্বীপ কেঁপে ওঠে, আসবাবপত্র পড়ে যায় এবং দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। এরপর রোববার দ্বীপের ৪৯ জন বাসিন্দাকে ফেরিতে করে মূল ভূখণ্ডে সরিয়ে নেওয়া হয়, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ শতাংশ।

তবে স্কুলকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বানিয়ে বাকিদের সঙ্গে থেকে গেছেন তোবো। তিনি বলেন, রাতেও ঘুম ভেঙে যায়। মনে হয় আবার ভূমিকম্প শুরু হবে। স্কুলের খোলা মাঠে আশ্রয় নিতে হয় মাঝরাতে।

Advertisement

দ্বীপে এখনো যারা আছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন অগ্নিনির্বাপক কর্মী, কৃষক, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী, এক চিকিৎসক ও এক নার্স।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মানুষ ঘুমহীন ও ক্লান্ত। দ্বীপে থেকে যাওয়া শিশুদের জন্য স্কুল চালু রাখা হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে।

আকুসেকিজিমার পাশের কোদাকারাজিমা দ্বীপেও ১৫ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আর ৪৪ জন রয়ে গেছেন। সেখানে সব দোকান বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিস ফেরি করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তবে স্থানীয়রা কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময়ের ব্যবধান ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এখনো সুনামির আশঙ্কা নেই, তবে ভূমিধস ও ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ভূমিকম্পপ্রবণ রিং অব ফায়ারের ওপর অবস্থানের কারণে জাপানে প্রায়শই এমন ঘটনা ঘটে। পৃথিবীর ৯০ শতাংশ ভূমিকম্প এই অঞ্চলে ঘটে।

সরকার আরও ভূমিকম্পের আশঙ্কা জানালেও জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

এমএসএম