৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে যারা বিগত সময়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ক্যাডার পদে বর্তমানে কর্মরত তাদের তথ্য চেয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
Advertisement
ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ১ হাজার ৬৯০ জনের প্রত্যেককে এ তথ্য দিতে হবে। আর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ থাকা ৮ হাজার ২৭২ জনকে শুধু ক্যাডার পদে কর্মরত থাকলে তথ্য দিতে হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি। কেউ যদি ক্যাডার পদে কর্মরত না থাকে, তাহলে তার তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
রোববার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার শাখা) মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুন প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী ৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার পদে সাময়িকভাবে মনোনীত ১ হাজার ৬৯০ জন প্রার্থীর প্রত্যেককে এবং নন-ক্যাডার পদের মনোনয়নের জন্য অপেক্ষমাণ ৮ হাজার ২৭২ জন প্রার্থীর মধ্যে যারা বর্তমানে কোনো ক্যাডার সার্ভিসে কর্মরত আছেন, তাদেরকে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে আবশ্যিকভাবে গুগল ফর্ম পূরণ করে দাখিল করতে হবে।
Advertisement
জানা যায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় চার বছর পর গত ৩০ জুন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন
একই ক্যাডারে দুইবার সুপারিশ, স্বপ্ন ভেঙেছে অনেকের ৩২ বছরের বেশি বয়সী চিকিৎসকদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে নির্দেশ শিক্ষক সংকট চরমে, বিশেষ বিসিএস নাকি পদ বাড়িয়ে সমন্বয়?তবে ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, চার শতাধিক প্রার্থীকে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ, তারা এর আগেও বিসিএসের মাধ্যমে একই ক্যাডারে নিয়োগ পেয়ে কর্মরত রয়েছেন।
ফলে তারা আর চাকরিতে যোগদান করবেন না। এত ওই পদগুলো শূন্য থেকে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রার্থীরাও। এ নিয়ে জাগো নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ করা হয়।
Advertisement
বিতর্কের মুখে পিএসসি রিপিট ক্যাডার সমস্যা নিরসনে ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক প্রার্থীদের চাকরির তথ্য আগেই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরও আবার তথ্য চেয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ফলাফল সংশোধন করা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএএইচ/ইএ/জিকেএস