ক্যাম্পাস

কোনো শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া হয়নি, দাবি জবি ছাত্রদলের

কোনো শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া হয়নি, দাবি জবি ছাত্রদলের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কোনো শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয়নি বলে দাবি করেছে জবি ছাত্রদল। রোববার (১৩ জুলাই) জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল এবং সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

Advertisement

বিবৃতিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে রফিক বিন সাদেক রেশাদকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে গিয়ে সংগঠিত ভুল বোঝাবুঝির অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।

শিক্ষার্থীদের কোনো উসকানিতে পা না দেওয়ার অনুরোধ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ঘটনার দিনই লিখিতভাবে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। আশা থাকবে তদন্তের মাধ্যমে সব তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ সাপেক্ষে ঘটনার জট খুলে যাবে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ রইলো।

প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিএদিকে এ ঘটনায় আজ রোববার (১৩ জুলাই) গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া ৫ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর পরিচালকের বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও নিচতলায় সংঘটিত সহিংস ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

তদন্ত কমিটি গঠন ও বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার সঠিক কারণ উদ্ঘাটন ও দায়ীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। কমিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।

বিশ্ববদ্যালয়ের বর্তমান পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের সংযত থাকার আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ, শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। ভবিষ্যতে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব প্রকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধৈর্য, সংযম ও তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

জানা গেছে, এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদকে ছাত্রলীগে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়। এসময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদের গালিগালাজ ও হামলা করার অভিযোগ উঠে। একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর শুরু করে তারা।

Advertisement

টিএইচকিউ/এমআইএইচএস/জিকেএস