নকল বা ভেজাল পেট্রোল ব্যবহারের ফলে গাড়ি ও বাইকের ইঞ্জিনে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। নকল পেট্রোল ব্যবহারে গাড়ি ও বাইকের শুধু পারফরম্যান্সই কমে না, বরং ইঞ্জিন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটু সতর্কতা আপনাকে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে। তাই কখনোই সন্দেহজনক জায়গা থেকে পেট্রোল নেবেন না।
Advertisement
তবে প্রথম প্রশ্নই হচ্ছে নকল পেট্রোল কী এবং কীভাবে চিনবেন। নকল বা ভেজাল পেট্রোল বলতে বোঝায় এমন পেট্রোল যাতে অতিরিক্ত কেরোসিন, ন্যাপথা, ডিজেল বা অন্যান্য সস্তা রাসায়নিক মেশানো হয় মূল জ্বালানির পরিমাণ কমিয়ে লাভ করার উদ্দেশ্যে। এই ধরনের পেট্রোল দেখতে, গন্ধে বা ব্যবহার শুরুর সময় কিছুটা স্বাভাবিক মনে হলেও তা দীর্ঘমেয়াদে ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি করে।
হঠাৎ স্টার্ট নিতে সমস্যা বা স্টার্ট নিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া, গ্যাস ও ধোঁয়ার তীব্র গন্ধ, কালো ধোঁয়া, মাইলেজ কমে যাওয়া, অস্বাভাবিক শব্দ বা কম্পন মূলত ভেজাল বা নকল পেট্রোল ব্যবহারে সাধারণ লক্ষণ এগুলো।
আসুন জেনে নেওয়া যাক নকল পেট্রোল ব্যবহারে গাড়ি-বাইকের কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে-১. ইঞ্জিন ক্ষতিভেজাল পেট্রোল সম্পূর্ণভাবে জ্বলতে পারে না, যার ফলে ইঞ্জিনে কার্বন জমে যায়। ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স কমে যায়, স্টার্ট নিতে দেরি করে। ইঞ্জিনের কমপ্রেশন হ্রাস পায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিন খুলে মেরামত করতে হয়।
Advertisement
২. ইঞ্জেক্টর ও কার্বুরেটরে ব্লকইঞ্জেকশন সিস্টেম বা কার্বুরেটরে জমে থাকা ময়লা এবং অপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ ব্লক তৈরি করে। এর ফলে পেট্রোল ঠিকমতো প্রবাহিত হয় না।
৩. স্পার্ক প্লাগে ক্ষতিঅতিরিক্ত কার্বন জমে স্পার্ক প্লাগ দুর্বল হয়ে পড়ে, ইগনিশনে সমস্যা দেখা দেয়।
৪. মাইলেজ কমে যায়নকল পেট্রোল সঠিক শক্তি দেয় না, ফলে গাড়ি বেশি পেট্রোল খরচ করে। ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত মাইলেজ কমে যেতে পারে।
৫. এক্সহস্ট সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়অসম্পূর্ণ দহন থেকে তৈরি হওয়া বিষাক্ত গ্যাস এক্সহস্ট সিস্টেম নষ্ট করে দেয় এবং ধোঁয়ার রং কালচে হয়ে যায়।
Advertisement
৬. ট্যাঙ্ক ও ফুয়েল লাইনে মরিচা পড়েকিছু ভেজাল তরল উপাদান ফুয়েল ট্যাঙ্কে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে মরিচা ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন বৃষ্টিতে বাইকের সাইলেন্সারে পানি ঢুকলে কী করবেন? বাইকের ‘এবিএস সিস্টেম’ আসলে কী জানেন?কেএসকে/জিকেএস