রাজনীতি

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

মিডফোর্ডে বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ডসহ সারাদেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর।

Advertisement

শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল ৪টায় নগরের মুরাদপুর মোড় থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিইসি মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি মুমিনুল হক মুমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল,কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য, মহানগর দক্ষিণ শাখা সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

এসময় বক্তারা বলেন, ঢাকার মিডফোর্ডে সোহাগ নামে একজন ব্যবসায়ীর চাঁদা না দেওয়ার পরিপ্রক্ষিতে একটি দলের কর্মীরা তাকে যেভাবে পাথরের আঘাতে হত্যা করেছে তা আমাদের প্রস্তর যুগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যে সময়টা মানুষ পাথর কেটে অস্ত্র তৈরি করে প্রতিপক্ষকে নির্মমভাবে ঘায়েলে ব্যবহার করতো। কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ করলাম সভ্য আধুনিক এই যুগে এসেও আমাদের এই ভাইকে বুকে, পিঠে, মাথায় একের পর এক পাথর দিয়ে আঘাত করার মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা এতেই ক্ষান্ত হয়নি, নিহত সোহাগের মরদেহের ওপর উঠে নৃত্য করার মত নৃশংসতাও আমাদের দেখতে হয়েছে।

Advertisement

বক্তারা আরও বলেন, দুই হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে ২০২৪ সালে স্বৈরাচার হাসিনাকে হটিয়ে আমরা দেশকে দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীন করেছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল দেশের মানুষ ভীতি কাটিয়ে শান্তিতে দিনাতিপাত করবে। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি এদেশের গ্রামেগঞ্জে, নগরে-বন্দরে চাঁদাবাজের আবারও বেরিয়ে এসেছে। বিগত সময়ের সন্ত্রাসী বাহিনিগুলোর মত আরও একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি হয়েছে। যে ধরনের সন্ত্রাস দেশের জনগণ বিগত ১৬ বছর ধরে দেখে এসেছে তেমনি একটি নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা গত দুইদিন আগে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী।

হাসিনা জুলাই আন্দলনে যে নৃশংসতা দেখিয়েছিল তেমন নৃশংসতা গতকাল দেখিয়েছে বিএনপির সন্ত্রাসীরা উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বীর চট্টলা ফুঁসে উঠেছে। ছাত্রলীগকে তাদের নৈরাজ্যের জন্য চট্টগ্রাম ছাড়তে বাধ্য করেছিল এই অঞ্চলের ছাত্র-জনতা, শ্রমজীবী-দিনমজুররা। তাদের পদাঙ্ক যারা অনুসরণ করার চেষ্টা করবে তাদেরও একই পরিণতি বরণ করতে হবে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারি মাইমুনুল ইসলাম মামুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি পারভেজ সহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

জেএইচ/জেআইএম

Advertisement