অল্প সময়ের মধ্যেই রাজনীতি নিয়ে আক্ষেপ তৈরি হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য কঙ্গনা রানাউতের। গত বছর বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি কেন্দ্রের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বছর ঘুরতেই রাজনীতির প্রতি বিমুখ তিনি। বলা চলে সংসদ সদস্য হয়ে এ অভিনেত্রী বেশ বিপাকে পড়েছেন।
Advertisement
নালা পরিষ্কার করা ও রাস্তা মেরামত করার মতো সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত তার কাছে আসছেন সাধারণ মানুষ। যা মোটেই পছন্দ হচ্ছে না কঙ্গনা রানাউতের। রাজনীতি করে আয়ের পরিমাণ নিয়েও সন্তুষ্ট নন তিনি। এবার আরও একটি উপলব্ধির কথা জানালেন কঙ্গনা। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন, বেশ হালকা চালেই রাজনীতি সংক্রান্ত নানা কাজ করতে পারবেন। খুব বেশি মাথা ঘামানোর বা পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝলেন, তার ধারণা ভুল। বরং সংসদ সদস্য হলে অনেকটা খুব বেশি সময় দিতে হয়।
রাজনীতি নিয়ে আরও কঙ্গনা বলেছেন, ‘আমি ভাবিনি, এতটা পরিশ্রম করতে হয়। আমাকে যখন কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তখন জানানো হয়, ৬০-৭০ দিন সংসদে উপস্থিত থাকলেই হবে। বাকি দিনগুলোয় নিজের কাজ করা যাবে। বিষয়টা শুনে ঠিকঠাকই মনে হয়েছিল। কিন্তু অনেকটা সময় দিতে হয়।’
কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত
Advertisement
কঙ্গনা সংসদ সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে, অভিনয় জগতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। মাত্র একটি সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তি পেয়েছে তার। সেই সিনেমার কাজ যদিও সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার আগেই সম্পন্ন হয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনো সিনেমার কাজও শুরু করেননি তিনি। তবে শোনা যাচ্ছে, প্রথম হলিউড সিনেমার কাজ শিগগির শুরু করবেন কঙ্গনা।
আরও পড়ুন:
রাষ্ট্রপতির নাম বলতে না পারায় চটেছেন কঙ্গনা কঙ্গনার কাছে বলিউড মঞ্চের পুরস্কারের চেয়ে শাড়ি মূল্যবানকঙ্গনার পর পর মন্তব্য নিয়ে এরই মধ্যে বিজেপির অন্দরে সমস্যা শুরু হয়েছে। কঙ্গনা জানিয়েছেন, তিনি সেভাবে রাজনীতি উপভোগ করছেন না। তাই হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রী জগৎ সিং নেগি দাবি করেছেন, সংসদ সদস্য হয়ে আক্ষেপ তৈরি হলে এবং কাজ ভালো না লাগলে কঙ্গনার উচিত অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া।
এমএমএফ/এমএস
Advertisement