পটুয়াখালী জেলার বাজারে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম যখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, ঠিক তখনই চিংড়ি মাছ হয়ে উঠেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ভরসা। লাগাতার বর্ষা ও মৌসুমী প্রভাবের কারণে চিংড়ি মাছের দাম অন্য সময়ের তুলনায় এখন অনেকটাই কম।
Advertisement
শনিবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে পটুয়াখালী নিউমার্কেট ও আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য মাছের তুলনায় চিংড়ি মাছের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। বাজারে বিভিন্ন আকার ও প্রজাতির চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে হরিনা চিংড়ি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, চামুয়া ৪০০ টাকা, ছোট গলদা চিংড়ি ৪৫০ টাকা এবং কাঁঠালি চিংড়ি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চিংড়ি মাছের সাইজের ওপর নির্ভর করে তার দাম।
বাজারের মাছ বিক্রেতা মনির হোসেন জানান, চিংড়ি এখন মৌসুমী মাছ। এই সময়ে চিংড়ির সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া গত সপ্তাহেও এই চিংড়ির দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি ছিল। এখন মানুষ স্বস্তি নিয়ে চিংড়ি মাছ কিনছে।
এদিকে বাজার করতে আসা রিকশাচালক দ্বীন ইসলাম বলেন, পাঙাস মাছের দাম অনেক বেশি, আমার সামর্থ্যে পড়ছে না। তাই একটু সস্তা দেখে চিংড়ি মাছ কিনে নিলাম। পরিবার নিয়ে চলতে গেলে হিসাব করে খরচ করতে হয়।
Advertisement
ক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, ইলিশ মাছের দাম এতটাই বেশি যে কাছে যাওয়াই যায় না। সেখানে চিংড়ি মাছের দাম কিছুটা সহনীয় হওয়ায় আমরা এই দিকেই ঝুঁকছি। বাজারে সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে, এমন সময়ে চিংড়ি মাছ কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে।
পটুয়াখালী নিউমার্কেট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মন্নান ফকির বলেন, সামনের দিনে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে এবং চিংড়ির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকবে। তবে প্রাকৃতিক পরিস্থিতি ও সরবরাহের ওপরই অনেকাংশে নির্ভর করছে বাজারের ভবিষ্যৎ চিত্র। এখন চিংড়ি মাছের দাম কম রয়েছে।
মাহমুদ হাসান রায়হান/এফএ/এমএস
Advertisement