ক্যাম্পাস

পাথর মেরে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল জাবি

পাথর মেরে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল জাবি

চাঁদার দাবিতে রাজধানীর মিটফোর্ডে যুবদল নেতাকর্মী কর্তৃক ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যা এবং সারাদেশে অব্যাহত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় ‘সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য’র ব্যানারে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্র হল ও সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের বটতলায় এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে ‘যেই হাত চাঁদা তুলে, সেই হাত ভেঙ্গে দাও’, ‘যুবদল খুন করে, তারেক রহমান কি করে’, ‘বিএনপির অনেক গুণ, নয় মাসে দেড়শ খুন’, ‘চাঁদা তুলে পল্টনে, চলে যায় লন্ডনে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চের সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ আমরা যে নৃশংসতা দেখেছি, এর পরে আমাদের সামনে দুইটি পথ খোলা আছে। একটি হচ্ছে গোলামির পথ, যেখানে আমাদের এই দখলদার চাঁদাবাজদের গোলামি করতে হবে। আর দ্বিতীয় পথ হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আবার সংগ্রাম করে এদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা। এখন আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কি গোলামি বেছে নেব, নাকি সংগ্রামের পথ বেছে নেব।‎সমাবেশে শাখা ছাত্রশিবিরের প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক সাফায়েত মীর বলেন, আমরা জুলুম, খুন, ধর্ষণ, টাকা পাচার, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জুলাইয়ে আন্দোলন করেছি৷ যারা আওয়ামী লীগের মতো পুরাতন বন্দোবস্ত চালু করতে চায় তাদেরও একই পরিণতি হবে৷ আমরা চাঁদাবাজদের বলতে চাই, আপনারা চাঁদাবাজি ছেড়ে ভিক্ষা করুন, আমরা আপনাদের ভিক্ষা দেব। আপনারা যদি খুন, ধর্ষণ, হত্যা বন্ধ করতে না পারেন তাহলে দেশের জনগণ আপনাদের রুখে দেবে।

Advertisement

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের শাখা সদস্যসচিব তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, আওয়ামী শাসনের পতনের পর এক সুশীল সমাজের আবির্ভাব ঘটেছে যারা জুলাইকে ‘মব’ বলে আখ্যা দিতে চায়। কিন্তু একটি মানুষকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে তাদের বক্তব্য নেই। বিএনপি যদি এই খুন ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে হয়তো সেই দিন বেশি দূরে নয়, আমরা লীগকে যেই পথে পাঠিয়েছি তাদেরও একই পথে যেতে হবে। আমরা এই নতুন বাংলাদেশে কোন বিভেদ চাই না, একটি সুন্দর দেশ গড়তে চাই।

সৈকত ইসলাম/এমএন/এএসএম