রাজধানীর ধানমন্ডিতে চলছে তিন দিনব্যাপী প্রাণ ম্যাংগো ফেস্ট। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১১ জুলাই) ছুটির দিন থাকায় মানুষের উপস্থিতি ও বিক্রি বেড়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে স্টলগুলোতে ঘুরে দেখা যায় সারি সারি সাজানো নানা জাতের বাহারি সব আম। কেউ কিনছেন, কেউ বা দরদাম করছেন। মেলায় আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আম নিয়ে এ ধরনের আয়োজন বেশ ব্যতিক্রম। কনসার্টের আয়োজন থাকায় অনেকেই আগ্রহ নিয়ে মেলায় আসছেন। বাচ্চারাও বেশ ইনজয় করছে।
Advertisement
মোহাম্মদপুর থেকে মেলায় এসেছেন মাহফুল আলম। জাগো নিউজকে তিনি জানান, আজ (শুক্রবার) ছুটি থাকায় পুরে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছি। বেশ ইনজয় করছি, কনসার্টও উপভোগ করছি। ২০ কেজি আম কিনেছি। তবে বাজারে যে দাম এখানেও সেইম দাম। মেলা থেকে যে আম নিয়েছি এটা ভেজালমুক্ত। এ ধরনের আয়োজন বেশি বেশি হলে মন্দ হয় না। পরিবারসহ ইনজয় করা যায়।
মেলায় আসা গ্রিনরোডের বাসিন্দা ইসমাইল হোসাইন সুমনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রাণকে ধন্যবাদ এত সুন্দর মেলা আয়োজনের জন্য। আমার দুই ছেলেকে নিয়ে এসেছি। ওরা আম খেতে পছন্দ করে। কাল রাতেই ওদের নিয়ে মেলায় আসার পরিকল্পনা করেছি। প্রকৃতির মাঝে খোলা আকাশের নিচে পাশেই লেক আর আমের সুঘ্রাণ। সব মিলে উপভোগ করছি।
বিভিন্ন স্টলে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আকার ভেদে আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১১০ টাকায়। বারি ফোর বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া মল্লিকা জাতের আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ফজলি ও সুরমা আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
Advertisement
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা গ্রিনলি স্টলের আম বিক্রেতা শিমুল জানান, মেলায় গতকালের তুলনায় আজ বিক্রি আরও বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই পরিবার নিয়ে এখানে এসেছেন। পাশে কনসার্ট থাকায় মানুষের উপস্থিতি আরও বেড়েছে। আজ আম্রপালি ও সুরমা আম বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য জাতের আমও বিক্রি হচ্ছে।
ডেইলি শপের স্টলে মো. সাফিন বলেন, কাল বৃষ্টি ছিল বিধায় অনেকেই আসতে পারেননি। আজ সকাল থেকেই বেচা-বিক্রি ভালো। মেলায় ফ্যামেলি কাস্টমারই বেশি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। কালকের তুলনায় আজ বিক্রি ডবল। আমরা হাড়িভাঙা আম বিক্রি করছি ৯৯ টাকা কেজি, আম্রপালি বিক্রি করছি ১১০ টাকা কেজিতে আর সুরমা ও ফজলি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
মেলায় পাঁচ কেজি আম কিনলে ৫০০ মিলি প্রাণ ফ্রুটো ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। আর ৩ কেজি আম কিনলে ২৫০ মিলি প্রাণ ফ্রুটো ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এ আয়োজনে দেশে উৎপাদিত সব ধরনের আম প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে বিভিন্ন ধরনের আমের উৎপত্তি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল আকর্ষণীয় করে তুলতে থাকছে বিভিন্ন ধরনের গেমস ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানান ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
Advertisement
এমডিএইচআর/এএমএ/এএসএম