পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িত থাকায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিনগত রাত ২টার পর বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে প্রকাশিত দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে সুজানগর পৌরবাজারের নন্দিতা সিনেমা হল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বহিষ্কৃতরা হলেন, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ শেখ, আব্দুর রউফের ভাতিজা ও ছাত্রদল নেতা কাউছার, যুবদল নেতা মনজেদ শেখ, পৌর বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মজিবর খাঁ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কামাল শেখ, পৌর যুবদল সদস্য মানিক খাঁ, সুজানগর এনএ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাকিল খাঁ, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল খাঁ, বিএনপি কর্মী লেবু খাঁ ও যুবদল কর্মী হালিম শেখ।
Advertisement
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলার সুজানগরে রক্তাক্ত সংঘাতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া এঘটনায় মোলাম খাঁ ও সুরুজসহ আরও যারা জড়িত ছিল তারা বিএনপি কিংবা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ নয়। এসব দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ যোগাযোগ বা সম্পর্ক রাখলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক হিমেল রানা বলেন, সেখানে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে বলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যালোচনা করেই এটি করেছেন। আমরা একে সাধুবাদ জানাই। বিএনপি চাইলে যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারেন। এই বহিষ্কারাদেশ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জন্য একটি বার্তা।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকার বলেন, সুজানগরের সংঘাতের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিতে ছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্তও চলছিল। হয়ত তার ফলশ্রুতিতেই বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে দলীয়ভাবে আমাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সুজানগর পৌর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মজিবর খাঁয়ের অনুসারী আশিক ও সবুজকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ শেখের ভাতিজা ও ছাত্রদল নেতা কাউছার এবং তার অনুসারীরা। এরপর মজিবর খাঁ ও তার লোকজন দলবদ্ধভাবে এসে কাউছারদের ওপর হামলা চালান। এসময় আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে থামাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করা হয়। সেখানে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন।
Advertisement
আলমগীর হোসাইন নাবিল/এমএন/এএসএম