দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় দুই বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি

গাইবান্ধায় দুই বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি

গাইবান্ধায়দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেএকজনও পাস করেনি। বিদ্যালয় দুটির মধ্যে একটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও অপরটি সাঘাটা উপজেলার গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়। বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ছিল ৬ জন ও গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ জন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় মোবাইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়টির ২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জন এবং মানবিক বিভাগের ছিল ১৪ জন শিক্ষার্থী ছিল। তাদের একজনও পাস করেনি। বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয় ২০০০ সালে। ১২জন শিক্ষকসহ যেখানে বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর সরকারের নিয়মিত বেতন পান।

অন্যদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৬ জন। তারা সবাই মানবিক বিভাগের। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয় ২০২২ সালে। বিদ্যালয়টির ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষক ১০ জন।

Advertisement

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. শাহেদা বেগম বলেন, এবার প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছিল। এজন্য সবাই ফেল করেছে। এখনো মার্কশিট বের করিনি। কে কোন বিষয়ে ফেল করেছে এখনি বলতে পারছি না।

বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইন বলেন, এটি আমার বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন অনুমোদিত এসএসসির প্রথম ব্যাচ। আমরা ২৩ সালের নভেম্বর বোর্ডের অনুমতি পেয়েছি। তার আগে মার্চে রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা এবং তাদের ফলাফলের এমন অবস্থা।

সাঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আহসান হাবীব বলেন, গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেউই পাস করেনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, কোনো বিদ্যালয়ে ফলাফলে শতকরা শূন্যের হারের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। গাইবান্ধার দুটি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার ব্যাপারে বোর্ড থেকে নোটিশ দেওয়া হবে। আমরা প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা ফেল করা বিষয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জবাব চাইব।

Advertisement

আনোয়ার আল শামীম/আরএইচ/জিকেএস