বাংলাদেশে ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়’ এর মিশন স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা পেশ করলে উপদেষ্টা পরিষদ এ অনুমোদন প্রদান করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরও বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পেশকৃত মালয়েশিয়ার জোহর বাহরুতে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
Advertisement
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অবশনাল প্রটোকল টু দ্য কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার অ্যান্ড আদার ক্রুয়েল, ইনহিউম্যান অর ডিগ্রেডিং ট্রিটমেন্ট অর পানিশমেন্ট (ওপি-সিএটি)-এ বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। ‘ওপি-সিএটি’ জাতিসংঘের আওতাধীন ‘প্রটোকল টু দ্য কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার অ্যান্ড আদার ক্রুয়েল, ইনহিউম্যান অর ডিগ্রেডিং ট্রিটমেন্ট অর পানিশমেন্ট’ এর পরিপূরক প্রটোকল। প্রটোকলটি ২০০২ সালে গৃহীত হয়, যার লক্ষ্য হলো নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে সুরক্ষা জোরদার করা। বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে উল্লিখিত মূল কনভেনশনটিতে পক্ষভুক্ত হয়।
অবশনাল প্রটোকল টু দ্য কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার অ্যান্ড আদার ক্রুয়েল, ইনহিউম্যান অর ডিগ্রেডিং ট্রিটমেন্ট অর পানিশমেন্ট(ওপি-সিএটি)-এ বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
সম্পূরক বিষয়: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগ পেশকৃত লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
বিবিধ বিষয়: অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা। অতিবৃষ্টির কারণে সম্প্রতি ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যা ও জলাবদ্ধতার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করা হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা বন্যা ও তদ্পরবর্তী গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য দেন। উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মুসাপুর রেগুলেটর ও বামনি ক্লোজার এর নকশা চূড়ান্তকরণ, ফেনীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্তকরণ ও নোয়াখালীর খাল ও ড্রেনেজ অবমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে উপদেষ্টাদের অবহিত করা হয়।
Advertisement
এছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উল্লিখিত তিন জেলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, তীর প্রতিরক্ষা ও পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে মর্মে জানানো হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে থেকে এ পর্যন্ত গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কেও অবহিত করা হয়েছে।
এমইউ/ইএ