জাতীয়

পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইল সারচার্জ বন্ধের দাবিতে রিট

পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইল সারচার্জ বন্ধের দাবিতে রিট

পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোনের ব্যয় থেকে এক শতাংশ সারচার্জ আদায় বন্ধের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট করেছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)’।

Advertisement

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।

রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।

আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন ও সিসিএস নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।

Advertisement

আরও পড়ুনসরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন করার নির্দেশনা বাতিল১৬ বছরের মধ্যে এসএসসিতে সবচেয়ে খারাপ ফল

এর আগে এ সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রথম ধাপ হিসেবে গত ৪ জুন সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশে সাত দিনের মধ্যে সারচার্জ বন্ধের দাবি জানায় সিসিএস।

নোটিশে বলা হয়, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের থেকে মোবাইলে খরচের ওপর এক শতাংশ সারচার্জ চালু রয়েছে। ২০১৬ সালে ওই সারচার্জ আরোপ করা হয়, যা বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে এই সারচার্জের মাধ্যমে ভোক্তাদের থেকে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় করা হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হলেও মোবাইল ফোনে সারচার্জ কর্তন বন্ধ হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, পদ্মা সেতু নির্মাণে ভোক্তাদের থেকে সারচার্জ কর্তনের জন্য ২০১৫ সালে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন’ করে সরকার। ওই আইনের অধীনে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সারচার্জ আদায় শুরু করে সরকার। তবে আইনের ৪নং ধারায় বলা হয়েছে, সরকার, ‘সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তৎকর্তৃক আরোপিত শর্তে ও নির্ধারিত মেয়াদে উন্নয়ন সারচার্জ আদায় করতে পারবে।’ কিন্তু প্রজ্ঞাপনে কোনো মেয়াদ নির্দিষ্ট না করেই সারচার্জ আদায় শুরু হয়। ফলে সারচার্জ আদায় ৯ বছর চললেও তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই, যা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় এবং মেয়াদ নির্দিষ্ট না করে বেআইনিভাবে সারচার্জ আদায়ের মাধ্যমে ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ফলে ভোক্তা অধিকার সংস্থা হিসেবে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সিসিএস।

Advertisement

এফএইচ/কেএসআর/জেআইএম