আধুনিক কাবাডি কমপ্লেক্স তৈরির জন্য গোপালগঞ্জের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনকে ২০ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কাবাডি ফেডারেশন একটি কমপ্লেক্স তৈরির জন্য যুতসই ভেন্যু খুঁজছিল অনেকদিন ধরে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দেশের অন্যতম এই শীর্ষ ফেডারেশনের জন্য তাদের এই ভেন্যুটি বরাদ্দ দিলো।
Advertisement
প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্সে থাকবে পরিপূর্ণ একাডেমিক কার্যক্রম। থাকবে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল ছাড়াও পুরুষ ও নারী জাতীয় দলের অনুশীলন সুবিধা। ফিটনেস ট্রেনার, রেফারিজ, কোচেস এবং অন্যান্য টেকনক্যিাল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এ কমপ্লেক্সে। প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্সের নানা সুবিধাদি এমনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে, যাতে কাবাডি খেলুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ স্থাপনা ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়। যা বাংলাদেশকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে।
এ কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্পর্কে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলছিলেন, ‘বৈশ্বিক কাবাডি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে তাল মেলাতে হলে সমন্বিত কার্যক্রমের বিকল্প নেই। আপনার হাতে উন্নতমানের কোচ এবং টেকনিক্যাল অফিসিয়াল থাকলে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মতো করে আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে পারবেন। এ জন্য পরিপূর্ণ কমপ্লেক্স নির্মাণের বিকল্প নেই।’
এস এম নেওয়াজ সোহাগ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কাবাডি উন্নয়নের যুগান্তকারী পদক্ষেপে সহযাত্রী হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং এনএসসি কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি, এ কমপ্লেক্স বাংলাদেশকে বিশ্ব কাবাডির পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পথে সহায়ক হবে।’
Advertisement
বরাদ্দকৃত গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে ইনডোর জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুল, হোস্টেল, দুটি খেলার মাঠ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরো কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর শুরু করা হবে প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্স।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, দেশের ক্রীড়া অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নির্দিষ্ট খেলার প্রসারে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোকে সহায়তা করাই এই লিজ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সেকে কাজে লাগিয়ে কাবাডির মতো ঐতিহ্যবাহী খেলার উন্নয়নে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এই চুক্তি গোপালগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কাবাডির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসার সুযোগ তৈরি হবে।
আরআই/এমএমআর/জিকেএস
Advertisement