শিক্ষা

‘এবার রেজাল্ট খারাপ, মিষ্টি বিক্রিও কম’

‘এবার রেজাল্ট খারাপ, মিষ্টি বিক্রিও কম’

দুপুর দুইটাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এবার রাজধানীর মিষ্টির দোকানগুলোতে সেভাবে বেচা-বিক্রির ধুম নেই। বরং অনেক দোকান ছিল ক্রেতারশূন্য।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার মিষ্টির দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মিষ্টি বিক্রেতারা বলেছেন, বৈরী আবহাওয়া, পাসের হার এবং ভালো রেজাল্টের হার কম হওয়ার কারণে এবার মিষ্টি বেচাকেনায় রেজাল্টের আমেজ পড়েনি।

একাধিক মিষ্টি ব্যবসায়ী জানান, এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন মিষ্টি বিক্রি সাধারণ সময়ের তুলনায় দুই থেকে আড়াইগুণ বেশি হয়। তবে আজ সেটি হয়নি।

Advertisement

তারা বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনও মিষ্টির দোকানে বেচাকিক্রি আগের মতো বাড়ে না। যদিও পয়লা বৈশাখ, পবিত্র ঈদুল ফিতর, এসএসসি ও এইচএসসির ফল প্রকাশের দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি বিক্রি হতো আগে।

রামপুরা এলাকায় ফুলকলি ও মধুবন জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান। বিকেল সাড়ে তিনটায় এ দুই দোকানে ক্রেতার আনাগোনা চোখে পড়েনি। জানতে চাইলে ফুলকলির ম্যানেজার মোহাম্মদ রনি বলেন, ক্রেতা দেখে বোঝার উপায় নাই যে আজ এসএসসির ফল প্রকাশ হয়েছে। আগেও যেমন টুকটাক বিক্রি হতো, এখনো তেমনই হচ্ছে। রেজাল্টের আমেজ এখন আর মিষ্টির দোকানে পড়ে না।

তবে বিজয়নগরের মুসলিম সুইটসে কিছুটা বেশি ক্রেতা দেখা গেলো। সেখানে কোম্পানির অপারেশনাল ম্যানেজার শাওন রহমান বলেন, আগের চেয়ে বেশি উৎপাদন করে প্রস্তুতি নিয়েছি। এদিন সাধারণত এক দেড় লাখ টাকা বেশি বিক্রি হয়।

তবে তিনি বলেন, আগে রেজাল্টের সময় এখানে লাইন দিয়ে মিষ্টি বিক্রি হয়েছে, এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। বিক্রি কিছুটা বাড়লেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না।

Advertisement

রাজধানীর এসব বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিষ্টির দোকানে ৪৪০ টাকা থেকে ৯৬০ টাকা কেজিতে মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে।

পল্টনে মিঠাই- এর ইনচার্জ সাগর শিল বলেন, রেজাল্টের কারণে আমরা স্টক রাখছি দ্বিগুণের মতো। আবহাওয়া ভালো থাকলে বেচাবিক্রি ভালো হবে প্রত্যাশা করছি।

আদি টাঙ্গাইল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গৌতম ঘোষ বলেন, যা একটু বিক্রি হতো বৃষ্টির কারণে সেটাও হচ্ছে না। কয়েকদিন ধরেই টানা আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে বেশি মিষ্টি বানানো হয়নি।

রাজভোগ সুইটসের সফিউল আলম বলেন, এবার রেজাল্টও খারাপ। পাসের হার কম। ভালো রেজাল্টও কম। স্বাভাবিকভাবে সেটার একটা প্রভাব পড়েছে বেচাকেনার ওপর।

টানা কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে সড়কে যান চলাচলও ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। মানুষের চলাচলও কমেছে।

তবে এ পরিস্থিতিতেও অনেকেই রেজাল্টের খুশিতে মিষ্টি কিনতে এসেছেন। আফরোজা বেগম নামের এক নারী বলেন, সন্তানের রেজাল্ট শুনে অফিস ছুটি নিয়ে বাসায় ফিরছি। মিষ্টি না নিয়ে গেলে হয়! বাসা ও আশপাশে প্রতিবেশীদের জন্য মিষ্টি নিচ্ছি। পরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠাবো।

এনএইচ/কেএসআর/জিকেএস