এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডে গত ৫ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে পাসের হার। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে কিছুটা ছন্দপতন হলেও এবার ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। একই সঙ্গে কমেছে শতভাগ পাশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।
Advertisement
সব মিলিয়ে এবার ফলাফলে ধস নেমেছে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে। বিগত ৫ বছরের পরিসংখ্যানে এবার সবচেয়ে কম পাসের হার ও জিপিএ-৫ । এ বছর সিলেটে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬১৪জন।
গত বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তাছাড়া ২০২২ সালে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ ও ২০২১ সালে ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
অন্যদিকে চলতি বছরে ৩ হাজার ৬১৪ জন পেলেও এর আগের বছরে জিপিএ-৫ পেয়েছিল পাঁচ হাজার ৪৭১ জন। এর আগের বছর ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৪৫২ জন, ২০২২ সালে ৭ হাজার ৫৬৫ জন ও ২০২১ সালে পেয়েছে চার হাজার ৮৩৪ জন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বেলা ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
তিনি জানান, ‘এবছর গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে না পারায় পাসের হার কমেছে। বিশেষ করে মানবিক বিভাগে ফেল করা শিক্ষার্থীর হার বেশি। যার প্রভাব ফলাফলে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। যার কারণে কারিকুলামের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মূল্যায়ন হয়নি।’
এ বছর সিলেট বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ২ হাজার ২১৯ জন। তারমধ্যে পাস করেছে ৭০ হাজার ৯১ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলে ২৮ হাজার ৬৮৪জন ও মেয়ে ৪১ হাজার ৪০৭ জন।
Advertisement
এ বছর পাসের হারে ছেলে ও মেয়েদের খুব একটা পার্থক্য নেই। ছেলেদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬২ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ১ হাজার ৭৯১ জন ও মেয়েদের সংখ্যা ১ হাজার ৮২৩ জন।
চলতি বছরে সিলেটের ৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। তবে শতভাগ ফেল শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেই। গত বছর শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩১টি। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ছিল ২৩টি, ২০২২ সালে ২৭টি ও ২০২১ সালে ১৮৫টি।
আহমেদ জামিল/আরএইচ/জেআইএম