ভারতের গুজরাটে ভদোদরা জেলার গম্ভীরা সেতু ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে পৌঁছেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন। প্রশাসন জানায়, ধসে পড়া সেতুর নিচে আরও দুটি যানবাহন আটকে থাকতে পারে।
Advertisement
জেলা কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া জানান, মৃতের সংখ্যা এখন ১৫, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। নদীতে আরও একটি গাড়ি ও একটি ট্রাক থাকতে পারে।
নিখোঁজ কারও সম্পর্কে তথ্য থাকলে তা নিয়ন্ত্রণকক্ষে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
উদ্ধারকারী দলগুলোর এক সদস্য জানান, প্রায় তিন মিটার গভীর কাদায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সেইসঙ্গে বৃষ্টির কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে। উদ্ধারকারীদের সহায়তায় একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার ভোরে ভদোদরা ও আনন্দ জেলার সংযোগকারী গম্ভীরা সেতুর একাংশ ধসে পড়ে। প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মিত এই সেতু দিয়ে চলার সময় ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ একাধিক যানবাহন মাহিসাগর নদীতে পড়ে যায়।
সেতু ধসের পর ব্যাপক প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে নড়বড়ে ছিল। চলাচলের সময় এটি কেঁপে উঠতো বলে জানান তারা।
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক চৈতন্যসিং ঝালার সুপারিশে নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল এবং এর জন্য জরিপও সম্পন্ন হয়। তবে পুরোনো গম্ভীরা সেতু সামান্য মেরামত করে চালু রাখা হয়।
Advertisement
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, গুজরাটের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল নিহতদের পরিবারগুলোকে দুই লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা দেওয়া হবে।
এছাড়া গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী আলাদাভাবে নিহতদের পরিবারগুলোকে চার লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। চিকিৎসার সব খরচও রাজ্য সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দুর্ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই দুর্ঘটনা গুজরাট মডেলের নামে চলা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার নগ্ন প্রমাণ। কংগ্রেস আরও দাবি করেছে, রাজ্যের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে।
সেতু ধসের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/