দেশজুড়ে

এবার ডুবলো ফেনী-ছাগলনাইয়া মহাসড়ক

এবার ডুবলো ফেনী-ছাগলনাইয়া মহাসড়ক

মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে ফেনীতে। এরই মধ্যে পরশুরাম-ফেনী সড়ক ডুবে গেছে। এবার ডুবলো ছাগলনাইয়া মহাসড়ক।

Advertisement

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর দিয়ে পানি গড়াতে শুরু করে। এতে করে ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রেজুমিয়া, কাশিমপুর, নিজপানুয়াসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ফুলগাজী ও পরশুরামের বাঁধভাঙা পানির স্রোত এবার ছাগলনাইয়া উপজেলা ও ফেনী সদর উপজেলার দিকে আসতে শুরু করেছে। বুধবার রাত থেকে নতুন নতুন এলাকায় পানি বাড়তে শুরু করে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক সড়কের পাঠাননগর ইউনিয়নের রেজুমিয়া অংশে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের ওপর দিয়ে পানির স্রোত যেতে দেখা গেছে। এ সড়কের কোথায়ও এক ফুট কোথাও দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত পানি রয়েছে। ফলে ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়ন, সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়ন, ছনুয়া ইউনিয়ন ও ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। তবে ফুলগাজী উপজেলায় পানির চাপ কমতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

Advertisement

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার আংশিক অংশে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বন্যা আক্রান্ত। এরই মধ্যে ৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এর আগে সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের চাপে ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০টি স্থান ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এরই মধ্যে প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। দুর্গত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফেনী থেকে ফুলগাজী-পরশুরামে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার এবং ত্রাণ তৎপরতায় নিয়োজিত রয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/জেডএইচ/জিকেএস

Advertisement