এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই)। এসময় মিষ্টির চাহিদা থাকে বেশ। তাই এবারও আগেই বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে রাজশাহীর মিষ্টির দোকানগুলোতে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে রাজশাহীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর, সাগরপাড়া ও বিনোদপুর বাজারের মিষ্টির দোকানগুলোতে দেখা যায়, সাজানো হয়েছে বিশেষ প্যাকেট ও বাড়তি মজুত। বড় ট্রেতে রকমারি রসগোল্লা, লাড্ডু, চমচম আর সন্দেশের স্তূপ। কেউ কেউ অর্ডার নিয়ে তৈরি করছেন নানা আকারের মিষ্টির বক্স। মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসময় সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরের মিষ্টির। মিষ্টিগুলোর বিভিন্ন বাহারি নামও রয়েছে।
এই যেমন হাসি মুখি নামের মিষ্টির দাম প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, কমলা সুন্দরী ৩৪০, এস গোল্লা ৩৪০, চমচম ৩৬০, স্পেশাল বললাম জমুন ৩২০, কালোজাম ২৮০, লালমন ২৮০, আবাক সন্দেস ৫৪০, রসকলম ২৮০ টাকা রাখা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির সন্দেস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬৪০ টাকা কেজি দরে।
Advertisement
রাজশাহীর বিখ্যাত ‘মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’র এক বিক্রেতা জানান, এসএসসি ফল প্রকাশের দিন বেচাবিক্রি অন্য দিনের তুলনায় অন্তত তিন গুণ বেড়ে যায়। তাই আগের রাতেই বাড়তি দুধ, চিনি আর শুকনো ফল সংগ্রহ করা হয়েছে। দোকানে অতিরিক্ত কর্মচারীও রাখা হয়েছে।
রাজশাহী নবরূপ মিষ্টি ভাণ্ডারের বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, এবার বাড়তি চাপ থাকবে। তবে আমাদের আগের মতোই প্রস্তুতি আছে।
রাজশাহী নগরীল বটতলা এলাকার বাসিন্দা আসগর আলী এসেছেন মিষ্টি নিতে। তিনি বলেন, ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আশা করছি ভালো ফলাফল করবে। তাই আগে থেকেই মিষ্টি কিছু কিনে রাখলাম। এবার দামও তেমন একটা বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
মিষ্টি কিনতে আসা ফারুক হোসেন বলেন, মিষ্টির দাম আগের মতোই আছে। আজ বৃষ্টির দিন, তাও মানুষ দেখছি ভালোই মিষ্টি কিনতে এসেছে। পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার পর আরও মানুষের ভিড় হবে।
Advertisement
সাখাওয়াত হোসেন/জেডএইচ/জিকেএস