কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলীকে বিএনপি নেতা বলে উল্লেখ করা হয় একটি ফেসবুক পেজে। এতে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে এক হাজার কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন এক বিএনপি নেতা।
Advertisement
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে গত সোমবার (৭ জুলাই) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৮ আগস্ট মাহবুব আলমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার (৯ জুলাই) রাতে। মামলার আসামি মাহবুব আলম (আরিফ) দৈনিক মানবকণ্ঠের মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।
মামলার আরজিতে বলা হয়, চলতি বছরের ২৭ জুন রাতে মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ফজর আলীকে ‘মুরাদনগর লাইভ টিভি’ নামের ফেসবুক পেজে বিএনপি নেতা বলে উল্লেখ করেছেন মাহবুব আলম, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ফজর আলী ও তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে কোনোদিনই জড়িত ছিলেন না।
Advertisement
সেখানে আরও বলা হয়, আসামি উক্ত মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন এবং মানহানি করেছেন। এতে আসামি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মানহানি করে আর্থসামাজিকভাবে এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কোনো ব্যক্তিকে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা দাবি করলে অবশ্যই সেই ব্যক্তির পদ-পদবি থাকতে হবে। অথচ ফজর আলী বিএনপিতে প্রাথমিক সদস্যও নন। তিনি সরাসরি আওয়ামী লীগের লোক, এরইমধ্যে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে এবং তার বাবাও মিডিয়ায় স্পষ্ট করেছেন।
অভিযুক্ত সাংবাদিক আরিফ বলেন, ধর্ষণকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা ফজর আলীকে বিএনপির কর্মী বলে বক্তব্য দেন। তবে ফজর আলী বিএনপির কর্মী নন এমন বক্তব্যও দিয়েছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন। ওই সংবাদে আমার কোনো ব্যক্তিগত মতামত ছিল না।
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এএসএম
Advertisement