ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বন্যা দুর্গতদের সহায়তার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আড়াই হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
Advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের বন্যার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার ফুলগাজী ও পরশুরামের বন্যার আশঙ্কা থেকেই আড়াই হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবক ফুলগাজী ও পরশুরামে কাজ করছেন।
এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আমরা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার, বালিগাঁও ইয়ুথ সোসাইটি, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্যাদুর্গত এলাকায় কাজ করছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, এরই মধ্যে বন্যা দুর্গত হয়ে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫৩২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-01818-444500, 01336-586693) খোলা হয়েছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় জন্য জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে। ২৫৪৭ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবক দুর্গত এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন।
ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মঙ্গলবার রাতে মুহুরী এবং সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৫টি স্থান ভেঙে যায়। এতে করে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement