নোয়াখালীতে ভারী বৃষ্টিপাতে আবারও পানিতে তলিয়ে গেছে জেলা শহরসহ আশপাশের জনপদ। কাঁচা ও আধাপাকা রাস্তাগুলো হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে ডুবে থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
Advertisement
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সন্ধ্যায়ও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, চাটখিল, কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জেলা শহরের মাইজদীর জেলা প্রশাসক অফিস, পুলিশ সুপারের অফিস, মৎস্য অফিস, জেলা খানা সড়ক, পাঁচ রাস্তার মোড়, পৌর বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান পানির নিচে। অনেক বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে দোকানপাট।
ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী ও শিক্ষার্থীরা। সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে কাদায় পড়ে আহত হয়েছে একাধিক শিশু। রাস্তায় রাস্তায় অনেক যানবাহন আটকা পড়েছে।
Advertisement
জেলা শহরের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, ‘জলাবদ্ধতা কোনো নতুন বিষয় না। পৌরসভা বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ দুর্ভোগ প্রতি বছরই ঘটে।’
মাইজদীর বাসিন্দা রহিমা আক্তার জানান, হালকা বৃষ্টিতেই রিকশা-অটোরিকশা মিলছে না। বাসা থেকে অফিসে যেতে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মাছুয়াদোনা খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়। সেই খাল সংস্কারে টাকা বরাদ্দ হলেও তা না করে টাকা ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে।’
সুবর্ণচরের বাসিন্দা ফজলুল কবির বলেন, ‘বৃষ্টির পানি নামার মতো খাল খনন না হওয়া ও খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আসলে নেতার অভাব নেই, কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করার সদিচ্ছা নেই কারও।’
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আরও বৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পৌর প্রশাসক জালাল উদ্দীন বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এমএস