একটা সময় মনে হচ্ছিল, শ্রীলঙ্কার রান ৩০০-৩৫০ হয়ে যাবে। ৪০ ওভার পর্যন্ত তেমন অবস্থানেই ছিল লঙ্কানরা। তবে শেষের দিকে ভালো বোলিং করেছে টাইগাররা। ফলে স্বাগতিকদের আটকে রাখা গেছে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানে। অর্থাৎ সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৮৬।
Advertisement
৪০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার বোর্ডে ছিল ৩ উইকেটে ২২২ রান। পরের ৭ ওভারে দারুণ বোলিং করে বাংলাদেশ। লঙ্কানরা নিতে পারে মাত্র ৩৭ রান, হারায় ৪ উইকেট। সবমিলিয়ে শেষ ১০ ওভারে মোটে ৬৩ রান দিয়েছে বাংলাদেশ।
পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। নিশান মাদুশকার উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। লঙ্কান ওপেনারকে ১ রানের (৬ বলে) বেশি করতে দেননি ডানহাতি টাইগার পেসার।
শুরু থেকেই ব্যাট হাতে সংগ্রাম করছিলেন মাদুশকা। তাসকিনের বলে কয়েকবার পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি। অবশেষে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তানজিম সাকিবের প্রথম বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন লঙ্কান ব্যাটার।
Advertisement
আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা অবশ্য সেট হয়ে গিয়েছিলেন। ৪৭ বলে ৩৫ রান করা নিশাঙ্কাকে থামান আগের ম্যাচের নায়ক তানভীর ইসলাম। তাকে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে পারভেজ হোসেন ইমনের সহজ ক্যাচ হন নিশাঙ্কা।
এরপর ১৬ রান করে কামিন্দু মেন্ডিস এলবিডব্লিউ হন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। ১০০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে সেঞ্চুরি জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস। ১১৭ বলে ১২৪ রান তোলেন তারা। মেন্ডিস সেঞ্চুরি, আসালাঙ্কা করেন হাফসেঞ্চুরি।
অবশেষে ইনিংসের ৪১তম ওভারে জুটিটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। টাইগার পেসারের লো ফুলটস হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আসালাঙ্কা। ৬৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৫৮ রান।
জানিথ লিয়ানাগে আবারও ধীরগতিতে শুরু করেছিলেন। তবে ১৭ বলে ১২ করেই তাকে দুর্ভাগ্যজনক আউটের শিকার হতে হয়। মিরাজের বলে পেছনে খেলতে গিয়ে পা দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন তিনি, ফেরেন হিটউইকেট হয়ে।
Advertisement
পরের ওভারে শ্রীলঙ্কা হারায় তাদের সেঞ্চুরিয়ানকে। শামীম পাটোয়ারীর বলে টপএজ হন কুশল মেন্ডিস। শামীম নিজেই দৌড়ে গিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন। ১১৪ বলে ১৮ বাউন্ডারিতে কুশলের দুর্দান্ত ইনিংসটি ছিল ১২৪ রানের।
শেষদিকে দুশমন্ত চামিরা ৮ বলে ১০ আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৪ বলে অপরাজিত ১৮ করেন।
তাসকিন আহমেদ ৫১ রানে আর মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৮ রানে নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম আর শামীম পাটোয়ারীর। মোস্তাফিজুর রহমান ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
এমএমআর/এমএস