অর্থনীতি

আকুর বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভ স্থিতিশীল

আকুর বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভ স্থিতিশীল

বাংলাদেশ ব্যাংক এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) বিল হিসেবে ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এত বড় অঙ্কের পরিশোধের পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় ধাক্কা লাগেনি, বরং স্থিতিশীল রয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রিজার্ভের হালনাগাদ চিত্রে দেখা যায়, গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি দুই মাস অন্তর আকুর বিল পরিশোধ করা হয়। এবারের পরিশোধটি মূলত মে ও জুন মাসের আমদানি ব্যয়ের বিপরীতে। এর আগেও চলতি বছরের ৬ মে মার্চ-এপ্রিল সময়কালের জন্য ১ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল, যা রিজার্ভে সাময়িক চাপ সৃষ্টি করেছিল।

Advertisement

মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আকুর দায় পরিশোধের পরও রিজার্ভ পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো। বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আছে। আকু বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভে বড় ধরনের প্রভাব পড়েনি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের অর্থ রিজার্ভে যুক্ত হওয়ায় ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। এর ফলে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ বা নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) এখনো নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে বেশি রয়েছে।

আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় পেমেন্ট নিষ্পত্তি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, ইরান, মালদ্বীপ ও মিয়ানমারের মধ্যে লেনদেন হয়। এর সদরদপ্তর তেহরানে। অর্থনৈতিক সংকট ও নির্ধারিত পেমেন্ট শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কারণে এ সংগঠনের সদস্যপদ থেকে শ্রীলঙ্কা সাময়িকভাবে বাদ পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ৩ জুলাই পর্যন্ত দেশে গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

Advertisement

ইএআর/এমকেআর/এএসএম