হঠাৎ দেখেই যে কারো মনে হবে কোনো পুকুর বা মুক্ত জলাশয়। বাস্তবে এর কোনোটিই নয়। বলছিলাম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠের কথা। সামান্য বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় ছাত্র-শিক্ষকসহ অভিভাবকদের।
Advertisement
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য।
ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মাদরাসাটি। প্রতিষ্ঠানটির পাশেই রয়েছে সড়ক, পুকুর ও বাজার। সড়ক ও বাজার থেকে মাদরাসা মাঠটি কয়েক ফুট নিচু। ফলে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় মাঠে। এতে করে হাঁটু পানি মাড়িয়ে শ্রেণিকক্ষে যেতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে যায়। ফলে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বের হতে পারি না। শ্রেণিকক্ষে আবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। মাঠের ঘাস ও আগাছা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, চারপাশে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে মশা বংশবিস্তার করছে। এতে ডেঙ্গু নিয়ে আমরা চিন্তিত।
Advertisement
লক্ষণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ছানা উল্লাহ বশারী বলেন, বাজারের পানি এবং বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। মাদরাসার মাঠ উঁচু না করা হলে ভোগান্তি চতুর্মুখী রূপ নিচ্ছে। পাশাপাশি মাঠের পানি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশন এবং মাদরাসা মাঠ ভরাটের ব্যবস্থা করা জরুরি। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলে জানিয়ে কোনো প্রতিকার পাইনি।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরীন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
জাহিদ পাটোয়ারী/জেডএইচ/এমএস
Advertisement