একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মোবারক হোসেনের ১১ বছর আগে করা আপিলের ওপর আজ মঙ্গলবার শুনানি হয়েছে। প্রথম দিনের শুনানি নিয়ে এ বিষয়ে আরও শুনানির জন্য আগামীকাল (৯ জুলাই) দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। আজ আদালতে মোবারকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম উপস্থিত আছেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। সাক্ষীদের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়েছে। কাল আবার শুনানি হবে।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারক হোসনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণ হয়। এর মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অপর তিনটি অভিযোগ (২, ৪ ও ৫ নম্বর) প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।
Advertisement
এর মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে আখাউড়ার টান মান্দাইল গ্রামের ৩৩ জনকে গঙ্গাসাগর দীঘির পাড়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী আব্দুল খালেককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আইসিটি দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন মোবারক হোসেন।
ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক হোসেন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাধীন দেশে জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘রুকন’ হন তিনি। পরবর্তী সময়ে মোবারক আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।
এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম
Advertisement