কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজার এলাকায় দুই সন্তানসহ নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আট আসামিকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাঙ্গরা থানার উপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের আবেদনটি করেন। এ বিষয়ে আমলি কুমিল্লার আদালত ১১-তে শুনানি হবে।
এদিকে মামলাটি বিকেলে বাঙ্গরা বাজার থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এরআগে র্যাব অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে ছয়জন এবং সেনাবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার বিকেলে ছয় আসামিকে কুমিল্লার ৫ নম্বর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সিদ্দিক আজাদ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Advertisement
এসময় মামলার ৩ নম্বর আসামি আকবপুর ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া মেম্বার আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হন। পরে তার বক্তব্য রেকর্ডের প্রক্রিয়া নেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি আর স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। পরে আদালত তাকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকেও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আটজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও স্বীকারোক্তি দেননি ইউপি সদস্য বাচ্চুএর আগে শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর হাতে আটক দুই আসামিকে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হলে আমলি আদালত ১১-এর বিচারক মমিনুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, এই পর্যন্ত ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সাতদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে আসামিদের কাছ থেকে হত্যার পরিকল্পনা এবং এ ঘটনার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে আইনের আওয়াতায় আনা সম্ভব হবে।
মামলায় অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিকেলে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
Advertisement
কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, মুরাদনগরের আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলাটি আমাদের কাছে হস্তান্তরের নোটিশ পেয়েছি। তবে এখনো কেস ডকেট হাতে পাইনি। ডকেট পেলে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ এবং মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বাঙ্গরাবাজার থানা এলাকার কড়ইবাড়ীতে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে নিজ বাড়ির সামনে রোখসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাতে রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জেআইএম