শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভিড় থাকলেও পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ রোববার (৬ জুলাই) চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় কম।
Advertisement
দুপুরের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি তারপর আবার রোদ ওঠে। রোদ, বৃষ্টি এড়াতে দর্শনার্থীরা আশ্রয় নিয়েছেন বিশ্রামকেন্দ্র, গাছের ছায়া ও লেকের পাড়ে।
সকাল ১০টা থেকে চিড়িয়াখানার কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার চিড়িয়াখানার সাপ্তাহিক ছুটি হলেও, আশুরার ছুটির কথা মাথায় রেখে খোলা রাখা হয় চিড়িয়াখানা। ১০টি টিকিট কাউন্টারের মধ্যে চালু ছিল মাত্র ২টি।
চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউ এসেছেন সাভার থেকে, কেউ এসেছেন কেরানীগঞ্জ থেকে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকেও এসেছেন অনেকে। বানর, বাঘ, সিংহ, ময়ূর, হরিণের খাঁচার সামনে শিশুদের আনন্দের যেন শেষ নেই।
Advertisement
চার বছরের শিশু রাফিন। খাঁচায় শুয়ে থাকা বাঘকে ডাকছিল। বাঘ না উঠায় তার বাবাকে প্রশ্ন করে, বাঘের কি সকাল এখনও হয়নি। এমনভাবে বানরের খাচাঁর সামনে শিশুদের কৌতূহলী সব প্রশ্ন করতে দেখা যায়।
চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন ১০ বছর বয়সী ফারিন। ফারিন বলে, চিড়িয়াখানায় হাতি, উট আর বাঘ দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পুরান ঢাকা থেকে এসেছেন সবুজ মিয়া। তিনি বলেন, আজকে আবহাওয়া ঠান্ডা আছে। সঙ্গে খাবার দাবারও নিয়ে এসেছি। বিকেল পর্যন্ত ঘুরবো। বাচ্চারা সাপ, কুমির, হরিণ দেখেছে।
লেকপাড়ে ছবি তুলতে দেখা যায় তুর্য আহমেদকে। তিনি তার ৪ বন্ধুকে নিয়ে এসেছেন শনিরআখড়া থেকে।
Advertisement
তুর্য বলেন, চিড়িয়াখানায় ছবি তুলত এসেছি। বাঘ, সিংহ আগে এসে দেখেছি। আজকে ছুটি, কলেজ বন্ধ। তাই এসেছি।
চিড়িয়াখানা এলাকায় সাবানের বুদবুদ তৈরির খেলনা বিক্রি করেন আমজাদ। কথা হলে আমজাদ বলেন, গত শুক্রবার ও শনিবার চিড়িয়াখানায় ভালো ভিড় হয়েছে। আজ সেই তুলনায় কম। ভিড় কম হলে হকারও কম হয়। আজকে চিড়িয়াখানা বন্ধ ভেবে অনেকেই আসেননি।
এসএম/এসএনআর/এমএস