সংবাদ প্রকাশের পর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিকরা প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর বরাদ্দকৃত দুপুরের খাবার পেলেন। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে উপকারখানাভিত্তিক বিরিয়ানির একটি করে প্যাকেট দেওয়া হয়।
Advertisement
এর আগে জাগো নিউজে ‘কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে উল্লেখ করা হয় কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ প্রশিক্ষণার্থীদের দুপুরের খাবারের জন্য বরাদ্দ তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
কারখানা সূত্র জানায়, প্রতি বছর শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সচেতনতা তৈরির জন্য ‘অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ’ দেওয়া হয়। একদিনের এ প্রশিক্ষণ উপকারখানাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে করা হয়। এতে কারখানার ২৮টি উপকারখানার ৬৫০ জন স্থায়ী শ্রমিক অংশ নেন। অংশ নেওয়া শ্রমিকদের সকাল ও বিকেলের নাশতা এবং দুপুরের খাবারসহ সম্মানি দেওয়া হয়। সম্মানি ৫০০ টাকা, দুপুরের খাবার ৫০০ টাকা এবং নাশতার জন্য ৮০ টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু সম্মানি ও নাশতা দেওয়া হলেও দুপুরের খাবার দেওয়া হয়নি শ্রমিকদের।
কয়েকজন শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ প্রশিক্ষণার্থীদের তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে তারা এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং একদিনে কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শ্রমিকদের জানান ওই টাকা দিয়ে বড় আয়োজন করে কারখানার সবাইকে নিয়ে একবেলা খাওয়া হবে। তাতেও তারা অসম্মতি জানান। পরে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশিক্ষণার্থীদের একটি করে বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয়।
Advertisement
কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ওই টাকা দিয়ে সবাই মিলে একদিন দুপুরে খাওয়ার কথা ছিল। যেহেতু এনিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তাই আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শুধু যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের একবেলার খাবার দেওয়া হলো।
আমিরুল হক/আরএইচ/এএসএম